ঋ/ঐ/ঔ-কারের পরের বর্ণে কার-চিহ্ন না থাকলে

শব্দের মধ্যে ঋ (ৃ), ঐ (ৈ), ঔ (ৗ) থাকলে এবং এর পরের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার চিহ্ন না থাকলে, উক্ত বর্ণটি ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: কৃশ। এখানে ঋ-কারের (কৃ) পরের বর্ণ ‘শ’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘শ’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘শো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘কৃশো’ (‘কৃশ্’ নয়)।আবার, গৌণ। এখানে ঔ-কারের … Read more

শব্দের শেষ বর্ণের আগে অনুস্বার (ং) থাকলে

শব্দের শেষ বর্ণের আগে অনুস্বার (ং) থাকলে শেষের বর্ণটি ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে। যেমন: বংশ। এখানে শেষ বর্ণ ‘শ’-এর আগে অনুস্বার (ং) আছে। তাই এখানে ‘শ’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘শো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বঙ্ শো’ (‘বঙ্ শ’ নয়)। আরও উদাহরণ: কংস (কঙ্ শো), ধ্বংস (ধঙ্ শো), অংশ (অঙ্ শো), হংস (হঙ্ শো)।

আলি/আমি থাকলেই ই-কার

শব্দের শেষে ‘আলি’ বা ‘আমি’ প্রত্যয় যুক্ত হলে সেখানে ই-কার (ি) ব্যবহৃত হবে। উদাহরণ বিশ্লেষণ:শেষে ‘আলি’-যুক্ত শব্দ:বর্ণালি (বর্ণ + আলি), স্বর্ণালি (স্বর্ণ + আলি), সোনালি (সোনা + আলি), রুপালি (রুপা + আলি), পুবালি (পুব + আলি), ঘটকালি (ঘটক + আলি), চতুরালি (চতুর + আলি)। শেষে ‘আমি’-যুক্ত শব্দ:পাগলামি (পাগল + আমি), চোরামি (চোর + আমি), ইতরামি … Read more

‘তারপর’, না-কি ‘তার পর’?

তারপর:‘তারপর’ শব্দের অর্থ- কোনো কিছুর অব্যবহিত পরে (প্রায় সঙ্গে সঙ্গেই)।যেমন:আগে ভাত খেয়ে নাও, তারপর টিভি দেখো।কোনো রকমে পোশাকটা পালটালো, তারপর দৌড়ে খেলার মাঠে।আগে এই রবীন্দ্রসংগীতটা গাইবি, তারপর নজরুলগীতি।এখানে সবগুলো উদাহরণেই দেখা যাচ্ছে, একটা কাজ হবার সঙ্গে সঙ্গেই আরেকটা কাজ সংঘটিত হচ্ছে। তার পর:‘তার পর’ অর্থ- এত কিছু ঘটার পর।যেমন:আগে পরীক্ষায় টিকবে, তার পর তো চাকরি!হুমায়ূন … Read more

ঈ-কার বদলে হয়ে যাবে ই-কার

যে-সব শব্দের শেষে ঈ-কার (ী) থাকে, সে-সব শব্দের শেষে নতুন কোনো শব্দ বা শব্দাংশ যুক্ত হলে উক্ত ঈ-কার বদলে ই-কার (ি) হয়ে যাবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:প্রতিযোগী > প্রতিযোগিতা। এখানে ‘প্রতিযোগী’ শব্দটির শেষে ঈ-কার আছে। এর সঙ্গে নতুন শব্দাংশ (প্রত্যয়) ‘তা’ যুক্ত হবার ফলে উক্ত ঈ-কার (গী) বদলে ই-কার (গি) হয়ে গেছে। আরও উদাহরণ: সহযোগী > … Read more

‘ভূত’ থাকলেই ঊ-কার

শব্দের মধ্যে কোনও স্থানে ‘ভূত’ শব্দটি থাকলেই উক্ত ‘ভূত’ বানানে ঊ-কার (ূ) হবে।উদাহরণ: ভূত, ভূতুড়ে, ভূতপূর্ব, অভূতপূর্ব, অঙ্গীভূত, অভিভূত, আবির্ভূত, উদ্ভূত, একীভূত, ঘনীভূত, দ্রবীভূত, পরাভূত, প্রভূত, বশীভূত, সম্ভূত, কিম্ভূতকিমাকার। ব্যতিক্রম: ‘অদ্ভুত’ শব্দটিতে ‘ভূত’ হবে না; ‘ভুত’ হবে। দ্রষ্টব্য: বাংলা একডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (সংস্করণ: এপ্রিল ২০১৮) অনুযায়ী, ‘ভূতুড়ে’ বানানটিই সঠিক। তবে এর বিকল্প বানান হিসেবে … Read more

ভূতুড়ে বনাম ভুতুড়ে

সাধারণভাবে দেখা যায়, শব্দের মধ্যে ‘ভূত’ শব্দটি থাকলেই উক্ত ‘ভূত’ বানানে ঊ-কার (ূ) ব্যবহৃত হয়। ‘অদ্ভুত’ শব্দটি ব্যতীত আর সকল শব্দের ক্ষেত্রেই এমনটি ঘটে থাকে। যদিও একটি দীর্ঘ সময় ‘ভুতুড়ে’ শব্দটিকেও ‘ব্যতিক্রম’ বলেই মানা হতো, বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (সংস্করণ: এপ্রিল ২০১৮) বলছে- এ শব্দটির বানান ‘ভূতুড়ে’ হবে। এসব কারণেই এ দুটো বানান নিয়ে … Read more

লেখিকা/শিক্ষিকা/অধ্যাপিকা- কোথায় গেল?

এমন অনেকবারই দেখেছি- ‘বুদ্ধিমান মেয়ে’ বললে লোকে ভুল ধরে বসেন। তাদের বক্তব্য হলো- ‘বুদ্ধিমান’ তো পুরুষবাচক; সুতরাং এখানে ‘বুদ্ধিমতী নারী’ লিখতে হবে। এটি আসলে একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা। চলুন, ব্যাপারটা বুঝে নেয়া যাক। নিয়ম হচ্ছে: বাংলা ভাষায় কখনও স্ত্রীবাচক বিশেষণ ব্যবহার করা যাবে না। স্ত্রীবাচক বিশেষণ ব্যবহৃত হবে সংস্কৃতে। অর্থাৎ সংস্কৃতে ‘সুন্দরী বালিকা’ লেখা … Read more

নাকি/না-কি/না কি

‘নাকি’, ‘না-কি’ ও ‘না কি’- কোনটা কখন ব্যবহার করবো? মনে রাখতে হবে:১. নাকের সাহায্যে উচ্চারিত বোঝাতে ‘নাকি’ ব্যবহার করবো।[উদাহরণ: সে নাকি স্বরে গান করে।] ২. সংশয় বোঝাতে ‘না-কি’ বা ‘না কি’ ব্যবহার করবো।[উদাহরণ: তুমি সেখানে গিয়েছিলে না-কি? (সংশয়)] দ্রষ্টব্য: বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান (সংস্করণ: এপ্রিল ২০১৮) অনুযায়ী, ‘নাকি’ শব্দটি সংশয় প্রকাশেও ব্যবহার করা যায়। … Read more

‘কি’, না-কি ‘কী’?

‘কি’ ও ‘কী’ নিয়ে আমাদের বেশ ভুগতে হয়, যদিও নিয়মটি খুবই সহজ। চলুন চট করে শিখে নেয়া যাক। মনে রাখতে হবে:১. যে-সব প্রশ্নের উত্তর কেবল হ্যাঁ/না দিয়েই করা সম্ভব, সে-সব ক্ষেত্রে ‘কি’ হবে।[উদাহরণ: তুমি কি ভাত খেয়েছো? (হ্যাঁ/না)] ২. যে-সব প্রশ্নের উত্তর কেবল হ্যাঁ/না দিয়ে করা যায় না, সে-সব ক্ষেত্রে ‘কী’ হবে।[উদাহরণ: তুমি কী দিয়ে … Read more