গোরু খাঁটি, না-কি দুধ খাঁটি?

‘খাঁটি গোরুর দুধ’, না-কি ‘গোরুর খাঁটি দুধ’- এটি সম্ভবত বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্কগুলোর একটি। একদল মানুষ আছেন, যারা ‘খাঁটি গোরুর দুধ’-এর বিপক্ষে দারুণ একটি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হলো- গোরু খাঁটি, না-কি দুধ খাঁটি? যেহেতু গোরুর খাঁটি হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই, খাঁটি হয় দুধ; সুতরাং এটি হবে ‘গোরুর খাঁটি দুধ’।আচ্ছা, তাদের কথা যদি … Read more

দ্বিতীয়া তৎপুরুষ বনাম চতুর্থী তৎপুরুষ

আমরা জানি- সমস্তপদকে ভাঙলে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি পাওয়া যায়, সেই বিভক্তি অনুযায়ীই সেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হয়। দ্বিতীয়া ও চতুর্থী তৎপুরুষ সমাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এ দুটো বিভক্তির চেহারা একই রকম (কে, রে)। তাহলে কীভাবে আমরা এদের পৃথক করবো? চলুন শিখি। কে/রে পাওয়া গেলে:১. সম্প্রদান (স্বত্ব ত্যাগ বা নিঃস্বার্থে কিছু দেওয়া) না হলে দ্বিতীয়া … Read more

তৎপুরুষ সমাস

সংজ্ঞা: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি থাকবে, সেটা সমস্তপদে লোপ পাবে এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পাবে। উদাহরণ ব্যাখ্যা:চাবাগান। ‘চাবাগান’ অর্থ কী? এর অর্থ- ‘চায়ের বাগান’। এটিই হচ্ছে ‘চাবাগান’-এর ব্যাসবাক্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে ‘এর’ … Read more

নঞ্ তৎপুরুষ, নঞ্ বহুব্রীহি

নঞ্ সমাস নিয়ে কমবেশি সবাইকেই সমস্যায় পড়তে হয়। কেননা দুটি সমাসের মধ্যে ‘নঞ্’ রয়েছে। একটি হচ্ছে নঞ্ তৎপুরুষ, অপরটি নঞ্ বহুব্রীহি। সহজে এ সমস্যার সমাধান করে নেওয়া যাক।আমরা জানি- ‘নঞ্’ একটি না-বাচক শব্দ। এর দ্বারা ‘না’ বোঝানো হয়। অর্থাৎ যে-সকল সমাসের সমস্তপদ দ্বারা না-বাচক কিছু বোঝানো হয়, সেগুলোকে নঞ্ সমাস বলে। মনে রাখবেন: ১. পরপদের … Read more

তৎপুরুষ সমাসের প্রকারভেদ

তৎপুরুষ সমাস নয় প্রকার।সেগুলো হলো- দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, ন্‌ঞ্, উপপদ ও অলুক তৎপুরুষ সমাস। দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী:সমস্তপদকে ভাঙলে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি পাওয়া যাবে, সেই বিভক্তি অনুযায়ীই সেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:১. গাছপাকা। ‘গাছপাকা’ অর্থ কী? এর অর্থ- গাছে পাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে- সমস্তপদকে ভাঙার পর পূর্বপদ ‘গাছ’-এর সঙ্গে … Read more

কর্মধারয় সমাসের প্রকারভেদ

কর্মধারয় সমাস প্রধানত চার প্রকার। ১. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:সংজ্ঞা: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: এ সমাসের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, মধ্যের পদ লোপ পায় বলেই এর নাম ‘মধ্যপদলোপী কর্মধারয়’। অর্থাৎ এ সমাসের ক্ষেত্রে ব্যাসবাক্যে ঠিক মাঝখানে থাকা পদটি সমস্তপদে গিয়ে লোপ পায়। উদাহরণ ব্যাখ্যা:সিংহ চিহ্নিত আসন … Read more

কর্মধারয় সমাস

সংজ্ঞা: যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। উদাহরণ ব্যাখ্যা:মহানবি। এখানে পূর্বপদ (মহান > মহা) একটি বিশেষণ পদ (যেহেতু এটি নবির গুণ বোঝাচ্ছে) এবং ‘নবি’ বিশেষ্য পদ। অর্থাৎ এখানে বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলে সমাসটি গঠিত হয়েছে।এখন, ‘মহানবি’ শব্দটি দ্বারা … Read more

তিনটি বিশেষ ধরনের দ্বন্দ্ব সমাস

এ আলোচনায় আমরা তিনটি বিশেষ প্রকৃতির দ্বন্দ্ব সমাস সম্পর্কে জানবো। ১. বহুপদী দ্বন্দ্ব:সংজ্ঞা: তিন বা তারও অধিক পদ মিলে যদি কোনো দ্বন্দ্ব সমাস গঠিত হয়, তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব বলে।সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: এ সমাসের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, বহু পদ মিলে তৈরি হয় বলেই এর নাম ‘বহুপদী দ্বন্দ্ব’। আমরা জানি- সমাসে সাধারণত দুটি পদ থাকে। তবে, … Read more

দ্বন্দ্ব সমাস

অর্থ: ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দের অর্থ- মিলন।সংজ্ঞা: যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: সমস্তপদের সবগুলো পদের অর্থ প্রাধান্য পেলেই সেটা দ্বন্দ্ব সমাস হবে এ কারণেই একে ‘উভয়পদ প্রধান’ সমাস বলা হয়। উদাহরণ ব্যাখ্যা: ১. ঝড়বৃষ্টি। যদি বলা হয়- ‘বাইরে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে’; এর মানে কী? ঝড় হচ্ছে, না- কি … Read more

লেখিকা/শিক্ষিকা/অধ্যাপিকা- কোথায় গেল?

এমন অনেকবারই দেখেছি- ‘বুদ্ধিমান মেয়ে’ বললে লোকে ভুল ধরে বসেন। তাদের বক্তব্য হলো- ‘বুদ্ধিমান’ তো পুরুষবাচক; সুতরাং এখানে ‘বুদ্ধিমতী নারী’ লিখতে হবে। এটি আসলে একটি বহুল প্রচলিত ভুল ধারণা। চলুন, ব্যাপারটা বুঝে নেয়া যাক। নিয়ম হচ্ছে: বাংলা ভাষায় কখনও স্ত্রীবাচক বিশেষণ ব্যবহার করা যাবে না। স্ত্রীবাচক বিশেষণ ব্যবহৃত হবে সংস্কৃতে। অর্থাৎ সংস্কৃতে ‘সুন্দরী বালিকা’ লেখা … Read more