‘দূর’ বনাম ‘দুর’

মনে রাখতে হবে: দূরত্ব বোঝালে ‘দূর’ হবে, অন্য সকল ক্ষেত্রে ‘দুর’ হবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:দূর:১. দূরবর্তী। এর অর্থ ‘দূরে অবস্থিত’। যেহেতু এ শব্দটি দ্বারা দূরত্ব বোঝাচ্ছে, তাই এখানে ‘দুর’ না হয়ে ‘দূর’ হবে।২. দূরদর্শন। এটি ‘টেলিভিশন’-এর বাংলা পরিভাষা। দূরদর্শনের (টেলিভিশন) সাহায্যে ঘরে বসেও দূরে কোথাও সংঘটিত ঘটনা, খেলা ইত্যাদি দেখা যায়। যেহেতু এখানে দূরের জিনিস … Read more

বিদেশি শব্দের বানানে কোন বর্ণগুলো লেখা যাবে না?

বিদেশি শব্দের বানানে ঈ, ঊ, ণ, ষ কখনোই ব্যবহার করা যাবে না। বিদেশি শব্দ কোনগুলো?বাংলাদেশের ভৌগোলিক সীমারেখার বাইরে অন্যান্য দেশের মানুষের ব্যবহৃত শব্দই বিদেশি শব্দ। বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত বিদেশি শব্দগুলোর মধ্যে আরবি, ফারসি ও ইংরেজি শব্দই বেশি। এছাড়াও পোর্তুগিজ, ফরাসি, ওলন্দাজ, তুর্কি, গুজরাটি, পাঞ্জাবি, চীনা, জাপানি প্রভৃতি ভাষার শব্দও বাংলা ভাষায় ব্যবহৃত হতে দেখা যায়। … Read more

‘একাডেমি’, না-কি ‘অ্যাকাডেমি’?

বাংলা শব্দের উচ্চারণের নিয়ম অনুযায়ী, শব্দের শুরুতে সহসাই ‘এ’ ধ্বনির বিবৃত (‘অ্যা’-এর মতো) উচ্চারণ হয়ে থাকে। যেমন: এক (অ্যাক্), একা (অ্যাকা), এখন (অ্যাখোন্)। বাংলা বানানের নিয়মে বলা হচ্ছে, ‘বিদেশি শব্দে ক্ষেত্র-অনুযায়ী অ্যা বা ্যা-কার ব্যবহৃত হবে। ‘সুতরাং, ‘সকল ক্ষেত্রে’ই ‘অ্যা’ ব্যবহার করতে হবে এমন নয়। নির্দেশনাটি হচ্ছে- যদি অর্থবিভ্রান্তির সুযোগ থাকে, তাহলে ‘অ্যা’ ব্যবহার করতে … Read more

শব্দের শেষে যুক্তবর্ণ থাকলে

শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন বা হ/ঢ় থাকলে এবং কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে তা ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: ক্লান্ত। এখানে শব্দের শেষে যুক্তবর্ণ ‘ন্ত’ আছে এবং কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে শেষের ‘ত’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘তো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘ক্লান্ তো’ (‘ক্লান্ ত’ নয়)। আরও উদাহরণ: চাকদহ (চাক্ দহো), শিয়ালদহ (শিয়াল্ দহো), … Read more

শব্দের শেষে জ/দ/প থাকলে

উপপদ তৎপুরুষ সমাসের সমস্তপদের শেষে ‘জ’, ‘দ’, ‘প’ থাকলে তা ও-কারযোগে যথাক্রমে ‘জো’, ‘দো’, ‘পো’-এর মতো উচ্চারিত হবে।যেমন: জলজ। এটি উপপদ তৎপুরুষ সমাসের সমস্তপদ এবং শব্দটির শেষে ‘জ’ আছে। তাই এখানে ‘জ’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘জো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘জলোজো’ (‘জলোজ্’ নয়)। আরও উদাহরণ:মনোজ (মনোজো), আত্মজ (আত্ তোঁজো), অগ্রজ (অগ্ গ্রোজো), জলদ … Read more

রেফ-যুক্ত বর্ণের সঙ্গে কার-চিহ্ন না থাকলে

শব্দের শেষে রেফ-যুক্ত বর্ণ থাকলে এবং তার সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে উক্ত বর্ণটি ও- কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: গর্ব। এখানে শব্দের শেষে রেফ-যুক্ত বর্ণ ‘র্ব’ আছে এবং এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘ব’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘বো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘গর্ বো’ (‘গর্ ব’ নয়)। আরও উদাহরণ: বর্ণ … Read more

শব্দের শেষে ত/ইত থাকলে

শব্দের শেষে ‘ত’ বা ‘ইত’ প্রত্যয় যুক্ত থাকলে উক্ত ‘ত’-কে ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে।যেমন: আমন্ত্রিত। এখানে শব্দের শেষে ‘ত’ প্রত্যয় যুক্ত আছে। তাই এখানে ‘ত’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘তো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘আমোন্ ত্রিতো’ (‘আমোন্ ত্রিত্’ নয়)। আরও উদাহরণ: আবির্ভূত (আবির্ ভুতো), সংকলিত (শঙ্ কোলিতো), সংকুচিত (শঙ্ কুচিতো), দুর্গত (দুর্ গতো), সমুন্নত … Read more

‘য়’-এর আগের বর্ণে কার-চিহ্ন থাকলে

‘য়’-এর আগের বর্ণের সঙ্গে আ-কার বাদে অন্য কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত থাকলে উক্ত ‘য়’-কে ‘য়ো’-রূপে উচ্চারণ করতে হবে। যেমন: বিধেয়। এখানে ‘য়’-এর আগের বর্ণের সঙ্গে এ-কার যুক্ত আছে। তাই এখানে ‘য়’-এর উচ্চারণ ‘য়ো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বিধেয়ো’ (‘বিধেই’ নয়)। আরও উদাহরণ: জলীয় (জোলিয়ো), পানীয় (পানিয়ো), প্রান্তীয় (প্রান্ তিয়ো), কেন্দ্রীয় (কেন্ দ্রিয়ো), নির্ণেয় (নির্ … Read more

তৎসম শব্দ চেনার উপায়

বাংলা ব্যাকরণে, বিশেষত বাংলা শব্দের বানানের ক্ষেত্রে তৎসম শব্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তৎসম শব্দ চেনার কিছু সূত্র আমরা এখানে শিখে নেবো। শব্দের মধ্যে যা যা থাকলে সেগুলো নিঃসন্দেহে তৎসম শব্দ হবে:১। ঈ, ঊ, ঋ, ণ ও ষ এবং এদের সংক্ষিপ্ত রূপ (ী, , ) থাকলে তৎসম শব্দ হবে। তবে ষ থাকলেও তৎসম হবে না … Read more

উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সহজ সূত্র

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সমাসের যে জায়গাগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস অন্যতম। এর সংজ্ঞার বিশ্লেষণ আমরা অন্য একটি আলোচনায় পাবো। এখানে কেবল আমরা এক পলকেই উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সূত্রটা জেনে নেবো। মনে রাখতে হবে: বাক্য সংক্ষেপণ (এক কথায় প্রকাশ) ঘটে থাকলে এবং সমস্তপদের শেষে ক্রিয়া (কাজ)-বাচক পদ যুক্ত থাকলেই সেগুলো … Read more