বিসর্গ (ঃ)-এর উচ্চারণ

শব্দের মধ্যে বিসর্গ থাকলে তার পরের বর্ণটির দ্বিত্ব (দুই বার) উচ্চারণ হয়। সেইসঙ্গে, উক্ত বিসর্গ ( ঃ)-এর পরের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে সেটি ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে।যেমন: নিঃস্ব। যেহেতু এখানে বিসর্গ ( ঃ) আছে, তাই এর পরের বর্ণ ‘স’-এর দ্বিত্ব উচ্চারণ হবে। সেইসঙ্গে, যেহেতু বিসর্গ (ঃ )-এর পরের বর্ণ ‘স্ব’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন … Read more

শ/ষ/স-এর উচ্চারণ কখন ‘শ’-এর মতো হবে?

এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে দুটি কথা মনে রাখতে হবে।১. ত-বর্গের বর্ণ ব্যতীত অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘স’-এর উচ্চারণ ‘শ’-এর মতো হবে।যেমন: পুরস্কার। এখানে ‘স’-টি যুক্ত হয়েছে ক-বর্গের (ক) বর্ণের সঙ্গে। তাই এখানে ‘স’-টির উচ্চারণ হবে ‘শ’-এর মতো। সুতরাং এ শব্দটির উচ্চারণ হবে ‘পুরোশ্ কার্’ (‘পুরোস্ কার্’ নয়)। ২. শব্দের মধ্যে বা শেষে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত … Read more

শ/স-এর উচ্চারণ কখন ‘স’-এর মতো হবে?

এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে দুটো নিয়ম মনে রাখতে হবে।১. ত-বর্গের বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘স’ সব সময় ‘স’-এর মতোই উচ্চারিত হবে।যেমন: অস্ত। এখানে ‘স’-টি ‘ত’ বর্গের (ত) বর্ণের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় আছে। তাই এখানে ‘স’-টি ‘স’-এর মতোই উচ্চারিত হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘অস্ তো’ (‘অশ্ তো’ নয়)। ২. শব্দের শুরুর যুক্তব্যঞ্জন বা র-ফলা/ব-ফলার সঙ্গে যুক্ত শ/স … Read more

বর্গীয় ব-এর উচ্চারণ

বর্গীয় ‘ব’ সব সময় উচ্চারিত হবে। সেইসঙ্গে, উক্ত ব-যুক্ত বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে সেটি ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে।যেমন: শব্দ। এখানে যুক্ত ‘ব’-টি যেহেতু একটি বর্গীয় ‘ব’, তাই এই ‘ব’-টি সরাসরি উচ্চারিত হবে। সেইসঙ্গে, যেহেতু ব-যুক্ত বর্ণ ‘ব্দ’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই, তাই এটি ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে। সুতরাং এ শব্দটির উচ্চারণ হবে ‘শব্ … Read more

ব-ফলার উচ্চারণ

(অন্তঃস্থ) ব-ফলার উচ্চারণ দু-ধরনের হয়ে থাকে।১. শব্দের শুরুতে (অন্তঃস্থ) ব-ফলা যুক্ত থাকলে উক্ত ‘ব’ উচ্চারিত হয় না।যেমন: দ্বারা। যেহেতু এখানে ব-ফলাটি শব্দের শুরুতে যুক্ত হয়েছে, তাই এখানে ‘ব’-এর উচ্চারণ হবে না। সুতরাং এ শব্দটির উচ্চারণ হবে ‘দারা’। ২. শব্দের মধ্যে বা শেষে কোনো বর্ণের সঙ্গে (অন্তঃস্থ) ব-ফলা যুক্ত থাকলে দুটি কাজ করতে হবে।ক. ব-ফলাযুক্ত বর্ণটির … Read more

‘ঞ্জ’ থাকলে ‘ন্ + জ’ হবে

শব্দের মধ্যে বা শেষে ‘ঞ্জ’ থাকলে সেটি ‘ন্ + জ’ আকারে উচ্চারিত হবে।যেমন: প্রাঞ্জল। এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘ঞ্জ’ স্থানে ‘ন্ + জ’ বসালে দাঁড়ায় ‘প্রা ন্+জ (ঞ্জ) ল’। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘প্রান্ জল’। আরও উদাহরণ:অঞ্জন (অন্ জোন্), প্রসেঞ্জিৎ (প্রোশেন্ জিত্), গঞ্জ (গন্ জো), সঞ্জয় (শন্ জয়্), গুঞ্জন (গুন্ জোন্), ব্যঞ্জন (ব্যান্ জোন্), রঞ্জন (রন্ … Read more

হ্ন থাকলে ‘ন্ + হ’ হবে

‘হ্ন’-এর উচ্চারণ হবে ‘ন্ + হ’-এর মতো। যেমন: চিহ্ন। এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘হ্ন’ স্থানে ‘ন্ + হ’ বসালে দাঁড়ায় ‘চি ন্+হ (হ্ন)’। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘চিন্ হো’ (‘চিন্ নো’ নয়)। আরও উদাহরণ: কাহ্ন (কান্ হো), সায়াহ্ন (শায়ান্ হো), আহ্নিক (আন্ হিক), মধ্যাহ্ন (মোদ্ ধান্ হো)। দ্রষ্টব্য: ‘হ্ন’-এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘ন্ + হ’-এর ‘হ’-টি স্পষ্টভাবে … Read more

র-ফলাযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ

র-ফলাযুক্ত বর্ণের উচ্চারণ তিন ধরনের হয়ে থাকে। (শব্দের শুরুতে থাকলে)১. র-ফলাযুক্ত বর্ণের সাথে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে সেটি ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে।যেমন: দ্রব্য। এখানে র-ফলাযুক্ত বর্ণ ‘দ্র’-এর সাথে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘দ্র’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘দ্রো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘দ্রোব্ বো’ (‘দ্রব্ বো’ নয়)।এ-রকম: প্রথম (প্রোথোম্), প্রণয় (প্রোনয়্), ক্রমিক (ক্রোমিক্), ত্রস্ত … Read more

ম-ফলার উচ্চারণ কখন ‘ম’-এর মতোই হয়?

গ/ঙ/ণ/ন/ল এবং প বর্গের (প/ফ/ব/ভ/ম) বর্ণের সাথে যুক্ত ম ‘ম’-এর মতোই উচ্চারিত হবে।যেমন: বাগ্মী। যেহেতু এখানে ‘ম’-টি ‘গ’-এর সাথে যুক্ত হয়েছে, তাই এর উচ্চারণ ‘ম’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বাগ্ মি’ (‘বাগ্ গিঁ’ নয়)। আরও উদাহরণ:যুগ্ম (জুগ্ মো), বাঙ্ময় (বাঙ্ ময়্), হিরণ্ময় (হিরোন্ ময়), চিন্ময় (চিন্ ময়্), তন্ময় (তন্ ময়্), পরম্পরা (পরোম্ পরা), … Read more

‘ক্ষ’-এর সাথে ম-ফলা যুক্ত হলে

‘ক্ষ’-এর সাথে ম-ফলা যুক্ত হলে সেখানে কোনও বর্ণের দ্বিত্ব হয় না। এ-ক্ষেত্রে ‘ক্ষ্ম’ স্থানে চন্দ্রবিন্দুযোগে ‘ক্ + খঁ’ হয়।যেমন: সূক্ষ্ম। এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘ক্ষ্ম’ স্থানে ‘ক্ + খঁ’ বসালে দাঁড়ায় ‘সূ ক্+খঁ (ক্ষ্ম)’। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘শুক্ খোঁ’। আরও উদাহরণ:লক্ষ্মণ (লক্ খোঁন্), লক্ষ্মী (লোক্ খিঁ), যক্ষ্মা (জক্ খাঁ)।