‘এ’ বর্ণের উচ্চারণ কখন ‘এ’-এর মতোই হয়?

ই/উ-কারযুক্ত বর্ণের আগের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে তার আগের ‘এ’ বর্ণটির উচ্চারণ ‘এ’-এর মতো হবে।যেমন: একটি। এখানে ই-কারযুক্ত ‘টি’-এর আগের বর্ণ ‘ক’-এর সাথে কোনও কার-চিহ্ন যুক্তনেই। তাই এই ‘ক’-এর আগের ‘এ’ বর্ণটি ‘এ’-এর মতোই উচ্চারিত হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘এক্ টি’ (‘অ্যাক্ টি’ নয়)। আরও উদাহরণ: একত্রিশ (একোত্ ত্রিশ্), একটু (এক্ টু), … Read more

শব্দের শেষে হ/য় থাকলে

শব্দের শেষে ‘হ’ বা ‘য়’ থাকলে তার আগের বর্ণের সাথে যুক্ত এ-কার ‘এ’-এর মতো এবং উক্ত ‘হ/য়’ ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে।যেমন: কেহ। এখানে শেষে ‘হ’ থাকার ফলে এর আগের বর্ণের সাথে যুক্ত এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’- এর মতো (কে) হবে; এবং উক্ত ‘হ’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘হো’-এর মতো হবে। সুতরাং এ শব্দটির উচ্চারণ হবে ‘কেহো’। আরও উদাহরণ: দেহ … Read more

এ-কারের উচ্চারণ কখন ‘এ’-এর মতোই হয়?

এ-কারের উচ্চারণ কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘এ’-এর মতোই হয়।১. শব্দের মধ্যে বা শেষে এ-কার থাকলে সাধারণভাবে ‘এ’-এর মতোই উচ্চারিত হয়। যেমন: পথে। এখানে এ-কার আছে শব্দের শেষে। তাই এখানে এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘পথে’।এ-রকম: ঘাটে (ঘাটে), দোষে (দোশে), আসে (আশে), লেঠেল (লেঠেল্), গেঁজেল (গেঁজেল্)। ২. শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণের সাথে এ-কার থাকলে সেখানেও … Read more

অনুনাসিক বর্ণের আগের বর্ণের উচ্চারণ

অনুনাসিক বর্ণ ণ/ন/ম-এর আগের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত না থাকলে উক্ত বর্ণটি ও- কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: পনের। এখানে অনুনাসিক বর্ণ ‘ন’-এর আগের বর্ণ ‘প’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘প’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘পো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘পোনেরো’ (‘পনেরো’ নয়)। আরও উদাহরণ:দ্রবণ (দ্রোবোন্), শ্রাবণ (শ্রাবোন্), প্রথম (প্রোথোম্), বন (বোন্)।

অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রথম বর্ণে কার-চিহ্ন না থাকলে

অসমাপিকা ক্রিয়ার প্রথম বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত না থাকলে উক্ত বর্ণটি ও কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: ‘কাজটি করে দিও।’ এ বাক্যে ‘করে’ অসমাপিকা ক্রিয়া। এখানে প্রথম বর্ণ ‘ক’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘ক’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘কো’-এর মতো হবে সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘কোরে’ (‘করে’ নয়)। আরও উদাহরণ:ধরে (ধোরে), হয়ে (হোয়ে), বলে … Read more

‘হ্য’ থাকলে ‘জ্ ঝো’ হবে

শব্দের মধ্যে ‘হ্য’ থাকলে তা ‘জ্ + ঝো’-রূপে উচ্চারিত হবে। যেমন: বাহ্য। এ শব্দটির উচ্চারণের ক্ষেত্রে ‘হ্য’ স্থানে ‘জ্ ঝো’ বসালে দাঁড়ায় ‘বাজ্ ঝো’। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বাজ্ ঝো’ (‘বাহ্ হো’ নয়)। আরও উদাহরণ:সহ্য (শোজ্ ঝো), দাহ্য (দাজ্ ঝো), গ্রাহ্য (গ্রাজ্ ঝো), লেহ্য (লেজ্ ঝো)।

ঋ/ঐ/ঔ-কারের পরের বর্ণে কার-চিহ্ন না থাকলে

শব্দের মধ্যে ঋ (ৃ), ঐ (ৈ), ঔ (ৗ) থাকলে এবং এর পরের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার চিহ্ন না থাকলে, উক্ত বর্ণটি ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: কৃশ। এখানে ঋ-কারের (কৃ) পরের বর্ণ ‘শ’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে ‘শ’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘শো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘কৃশো’ (‘কৃশ্’ নয়)।আবার, গৌণ। এখানে ঔ-কারের … Read more

শব্দের শেষ বর্ণের আগে অনুস্বার (ং) থাকলে

শব্দের শেষ বর্ণের আগে অনুস্বার (ং) থাকলে শেষের বর্ণটি ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে। যেমন: বংশ। এখানে শেষ বর্ণ ‘শ’-এর আগে অনুস্বার (ং) আছে। তাই এখানে ‘শ’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘শো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বঙ্ শো’ (‘বঙ্ শ’ নয়)। আরও উদাহরণ: কংস (কঙ্ শো), ধ্বংস (ধঙ্ শো), অংশ (অঙ্ শো), হংস (হঙ্ শো)।

শব্দের শেষে যুক্তবর্ণ থাকলে

শব্দের শেষে যুক্তব্যঞ্জন বা হ/ঢ় থাকলে এবং কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে তা ও-কারযোগে উচ্চারিত হবে। যেমন: ক্লান্ত। এখানে শব্দের শেষে যুক্তবর্ণ ‘ন্ত’ আছে এবং কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এখানে শেষের ‘ত’-টির উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘তো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘ক্লান্ তো’ (‘ক্লান্ ত’ নয়)। আরও উদাহরণ: চাকদহ (চাক্ দহো), শিয়ালদহ (শিয়াল্ দহো), … Read more

শব্দের শেষে জ/দ/প থাকলে

উপপদ তৎপুরুষ সমাসের সমস্তপদের শেষে ‘জ’, ‘দ’, ‘প’ থাকলে তা ও-কারযোগে যথাক্রমে ‘জো’, ‘দো’, ‘পো’-এর মতো উচ্চারিত হবে।যেমন: জলজ। এটি উপপদ তৎপুরুষ সমাসের সমস্তপদ এবং শব্দটির শেষে ‘জ’ আছে। তাই এখানে ‘জ’-এর উচ্চারণ ও-কারযোগে ‘জো’ এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘জলোজো’ (‘জলোজ্’ নয়)। আরও উদাহরণ:মনোজ (মনোজো), আত্মজ (আত্ তোঁজো), অগ্রজ (অগ্ গ্রোজো), জলদ … Read more