এ-কারের উচ্চারণ কখন ‘এ’-এর মতোই হয়?

এ-কারের উচ্চারণ কয়েকটি ক্ষেত্রে ‘এ’-এর মতোই হয়।
১. শব্দের মধ্যে বা শেষে এ-কার থাকলে সাধারণভাবে ‘এ’-এর মতোই উচ্চারিত হয়। যেমন: পথে। এখানে এ-কার আছে শব্দের শেষে। তাই এখানে এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘পথে’।
এ-রকম: ঘাটে (ঘাটে), দোষে (দোশে), আসে (আশে), লেঠেল (লেঠেল্), গেঁজেল (গেঁজেল্)।

২. শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণের সাথে এ-কার থাকলে সেখানেও ‘এ’-এর মতো উচ্চারিত হবে।
যেমন: স্নেহ। এখানে শব্দের শুরুতে যুক্তবর্ণ ‘স্ন’-এর সাথে এ-কার আছে। তাই্ এখানে এ কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘স্নেহো’।
যেমন: প্রেম (প্রেম্), প্রেরক (প্রেরোক্), শ্রেণি (স্রেনি), শ্লেষ (স্লেশ্), দ্বেষ (দেশ্)।

৩. এক অক্ষর-বিশিষ্ট সর্বনাম পদের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হয়। যেমন: কে, যে, সে।

৪. ‘হ’, ‘য়’ এবং কার-চিহ্নবিহীন যুক্তবর্ণের আগের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে।
যেমন: দেহ। যেহেতু এখানে ‘হ’ আছে, তাই ‘হ’-এর আগের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘দেহো’ (‘দ্যাহো’ নয়)।
আবার, পেয়। যেহেতু এখানে ‘য়’ আছে, তাই ‘য়’-এর আগের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘পেয়ো’ (‘প্যায়ো’ নয়)।
আবার, কেষ্ট। এখানে যুক্তবর্ণ ‘ষ্ট’ এর সাথে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত নেই। তাই এর আগের এ-কারটি ‘এ’-এর মতোই উচ্চারিত হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘কেশ্ টো’ (‘ক্যাশ্ টো’ নয়)।

৫. ই/উ-কারযুক্ত বর্ণের আগের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে।
যেমন: বেলুন। এখানে উ-কারযুক্ত বর্ণ ‘লু’-এর আগের এ-কারের উচ্চারণ ‘এ’-এর মতোই হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বেলুন্’ (‘ব্যালুন্’ নয়)।
এ-রকম: দেখি (দেখি), রেণু (রেনু), ধেনু (ধেনু), মেরুন (মেরুন্), মেনি (মেনি), একুশ (একুশ্), চেঁচিয়ে (চেঁচিয়ে), ফেনিল (ফেনিল্)।