‘গোরু’ বানানটি আরও বেশ কয়েকটি মজার প্রশ্ন উসকে দিয়েছে। এ-রকমই দুটো প্রশ্নের সমাধান আজ খুঁজবো। চলুন, শিখে নেওয়া যাক। ছাগল কেন ‘ছাগোল’ নয়? ‘ছাগল’ শব্দটির বিশ্লেষণ হলো, ‘ছগল + অ’। প্রকৃতি-প্রত্যয়ের নিয়মানুসারে, প্রত্যয় যুক্ত হলে সাধারণভাবে প্রকৃতির শুরুর স্বরধ্বনি পরিবর্তিত…
আমরা ইতোমধ্যেই ‘গোরু’ বানানটির ব্যাপারে জেনেছি। অনেকেরই ধারণা, কেবল উচ্চারণের ওপর ভিত্তি করেই বানানটি ‘গরু’ থেকে ‘গোরু’-তে রূপান্তরিত হয়েছে। যদিও এ ধারণা সঠিক নয়, তথাপি কিছু প্রশ্ন চলে আসে এ-রকম: তরু কেন ‘তোরু’ হবে না? মরু কেন ‘মোরু’ হবে না?…
অনেকেরই ধারণা- শব্দটি আসলে ‘শীততাপ’। এ ধারণার পেছনে একটি কারণ সম্ভবত এই যে, ‘শীত’ ও ‘তাপ’ দুটোই অর্থবোধক শব্দ। কিন্তু প্রকৃত ব্যাপারটা কি তা-ই? চলুন শিখি। প্রকৃতপক্ষে শব্দটির শুদ্ধ বানান হচ্ছে ‘শীতাতপ’।বিশ্লেষণ: শীত+আতপ।অর্থ: শীত ও গ্রীষ্ম, শৈত্য ও উষ্ণতা।ব্যাখ্যা: ‘শীতাতপ’…
‘খাঁটি গোরুর দুধ’, না-কি ‘গোরুর খাঁটি দুধ’- এটি সম্ভবত বাংলা ভাষার সবচেয়ে জনপ্রিয় বিতর্কগুলোর একটি। একদল মানুষ আছেন, যারা ‘খাঁটি গোরুর দুধ’-এর বিপক্ষে দারুণ একটি যুক্তি দাঁড় করিয়েছেন। তাদের বক্তব্য হলো- গোরু খাঁটি, না-কি দুধ খাঁটি? যেহেতু গোরুর খাঁটি হওয়ার কোনো ব্যাপার নেই, খাঁটি হয় দুধ; সুতরাং এটি হবে ‘গোরুর খাঁটি দুধ’।আচ্ছা, তাদের কথা যদি […]
আমরা জানি- সমস্তপদকে ভাঙলে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি পাওয়া যায়, সেই বিভক্তি অনুযায়ীই সেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হয়। দ্বিতীয়া ও চতুর্থী তৎপুরুষ সমাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এ দুটো বিভক্তির চেহারা একই রকম (কে, রে)। তাহলে কীভাবে আমরা এদের পৃথক করবো? চলুন শিখি। কে/রে পাওয়া গেলে:১. সম্প্রদান (স্বত্ব ত্যাগ বা নিঃস্বার্থে কিছু দেওয়া) না হলে দ্বিতীয়া […]
সংজ্ঞা: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি থাকবে, সেটা সমস্তপদে লোপ পাবে এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পাবে। উদাহরণ ব্যাখ্যা:চাবাগান। ‘চাবাগান’ অর্থ কী? এর অর্থ- ‘চায়ের বাগান’। এটিই হচ্ছে ‘চাবাগান’-এর ব্যাসবাক্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে ‘এর’ […]
শব্দের মধ্যে বিসর্গ থাকলে তার পরের বর্ণটির দ্বিত্ব (দুই বার) উচ্চারণ হয়। সেইসঙ্গে, উক্ত বিসর্গ ( ঃ)-এর পরের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন না থাকলে সেটি ও-কারযোগে উচ্চারণ করতে হবে।যেমন: নিঃস্ব। যেহেতু এখানে বিসর্গ ( ঃ) আছে, তাই এর পরের বর্ণ ‘স’-এর দ্বিত্ব উচ্চারণ হবে। সেইসঙ্গে, যেহেতু বিসর্গ (ঃ )-এর পরের বর্ণ ‘স্ব’-এর সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন […]
এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে দুটি কথা মনে রাখতে হবে।১. ত-বর্গের বর্ণ ব্যতীত অন্য বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘স’-এর উচ্চারণ ‘শ’-এর মতো হবে।যেমন: পুরস্কার। এখানে ‘স’-টি যুক্ত হয়েছে ক-বর্গের (ক) বর্ণের সঙ্গে। তাই এখানে ‘স’-টির উচ্চারণ হবে ‘শ’-এর মতো। সুতরাং এ শব্দটির উচ্চারণ হবে ‘পুরোশ্ কার্’ (‘পুরোস্ কার্’ নয়)। ২. শব্দের মধ্যে বা শেষে কোনো বর্ণের সঙ্গে যুক্ত […]
এর উচ্চারণের ক্ষেত্রে দুটো নিয়ম মনে রাখতে হবে।১. ত-বর্গের বর্ণের সঙ্গে যুক্ত ‘স’ সব সময় ‘স’-এর মতোই উচ্চারিত হবে।যেমন: অস্ত। এখানে ‘স’-টি ‘ত’ বর্গের (ত) বর্ণের সঙ্গে যুক্ত অবস্থায় আছে। তাই এখানে ‘স’-টি ‘স’-এর মতোই উচ্চারিত হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘অস্ তো’ (‘অশ্ তো’ নয়)। ২. শব্দের শুরুর যুক্তব্যঞ্জন বা র-ফলা/ব-ফলার সঙ্গে যুক্ত শ/স […]