দ্বিতীয়া তৎপুরুষ বনাম চতুর্থী তৎপুরুষ

আমরা জানি- সমস্তপদকে ভাঙলে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি পাওয়া যায়, সেই বিভক্তি অনুযায়ীই সেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হয়। দ্বিতীয়া ও চতুর্থী তৎপুরুষ সমাসের ক্ষেত্রে সমস্যা হচ্ছে, এ দুটো বিভক্তির চেহারা একই রকম (কে, রে)। তাহলে কীভাবে আমরা এদের পৃথক করবো? চলুন শিখি। কে/রে পাওয়া গেলে:১. সম্প্রদান (স্বত্ব ত্যাগ বা নিঃস্বার্থে কিছু দেওয়া) না হলে দ্বিতীয়া … Read more

তৎপুরুষ সমাস

সংজ্ঞা: যে সমাসে পূর্বপদের বিভক্তি লোপ পায় এবং পরপদের অর্থ প্রধান রূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে তৎপুরুষ সমাস বলে। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি থাকবে, সেটা সমস্তপদে লোপ পাবে এবং পরপদের অর্থ প্রাধান্য পাবে। উদাহরণ ব্যাখ্যা:চাবাগান। ‘চাবাগান’ অর্থ কী? এর অর্থ- ‘চায়ের বাগান’। এটিই হচ্ছে ‘চাবাগান’-এর ব্যাসবাক্য। তাহলে দেখা যাচ্ছে, ব্যাসবাক্যে পূর্বপদের সঙ্গে ‘এর’ … Read more

নঞ্ তৎপুরুষ, নঞ্ বহুব্রীহি

নঞ্ সমাস নিয়ে কমবেশি সবাইকেই সমস্যায় পড়তে হয়। কেননা দুটি সমাসের মধ্যে ‘নঞ্’ রয়েছে। একটি হচ্ছে নঞ্ তৎপুরুষ, অপরটি নঞ্ বহুব্রীহি। সহজে এ সমস্যার সমাধান করে নেওয়া যাক।আমরা জানি- ‘নঞ্’ একটি না-বাচক শব্দ। এর দ্বারা ‘না’ বোঝানো হয়। অর্থাৎ যে-সকল সমাসের সমস্তপদ দ্বারা না-বাচক কিছু বোঝানো হয়, সেগুলোকে নঞ্ সমাস বলে। মনে রাখবেন: ১. পরপদের … Read more

তৎপুরুষ সমাসের প্রকারভেদ

তৎপুরুষ সমাস নয় প্রকার।সেগুলো হলো- দ্বিতীয়া, তৃতীয়া, চতুর্থী, পঞ্চমী, ষষ্ঠী, সপ্তমী, ন্‌ঞ্, উপপদ ও অলুক তৎপুরুষ সমাস। দ্বিতীয়া থেকে সপ্তমী:সমস্তপদকে ভাঙলে পূর্বপদের সঙ্গে যে বিভক্তি পাওয়া যাবে, সেই বিভক্তি অনুযায়ীই সেই তৎপুরুষ সমাসের নাম হবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:১. গাছপাকা। ‘গাছপাকা’ অর্থ কী? এর অর্থ- গাছে পাকা। তাহলে দেখা যাচ্ছে- সমস্তপদকে ভাঙার পর পূর্বপদ ‘গাছ’-এর সঙ্গে … Read more

কর্মধারয় সমাসের প্রকারভেদ

কর্মধারয় সমাস প্রধানত চার প্রকার। ১. মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস:সংজ্ঞা: যে কর্মধারয় সমাসে ব্যাসবাক্যের মধ্যপদ লোপ পায়, তাকে মধ্যপদলোপী কর্মধারয় সমাস বলে।সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: এ সমাসের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, মধ্যের পদ লোপ পায় বলেই এর নাম ‘মধ্যপদলোপী কর্মধারয়’। অর্থাৎ এ সমাসের ক্ষেত্রে ব্যাসবাক্যে ঠিক মাঝখানে থাকা পদটি সমস্তপদে গিয়ে লোপ পায়। উদাহরণ ব্যাখ্যা:সিংহ চিহ্নিত আসন … Read more

কর্মধারয় সমাস

সংজ্ঞা: যেখানে বিশেষণ বা বিশেষণভাবাপন্ন পদের সাথে বিশেষ্য বা বিশেষ্যভাবাপন্ন পদের সমাস হয় এবং পরপদের অর্থই প্রধানরূপে প্রতীয়মান হয়, তাকে কর্মধারয় সমাস বলে। উদাহরণ ব্যাখ্যা:মহানবি। এখানে পূর্বপদ (মহান > মহা) একটি বিশেষণ পদ (যেহেতু এটি নবির গুণ বোঝাচ্ছে) এবং ‘নবি’ বিশেষ্য পদ। অর্থাৎ এখানে বিশেষণ ও বিশেষ্য পদ মিলে সমাসটি গঠিত হয়েছে।এখন, ‘মহানবি’ শব্দটি দ্বারা … Read more

তিনটি বিশেষ ধরনের দ্বন্দ্ব সমাস

এ আলোচনায় আমরা তিনটি বিশেষ প্রকৃতির দ্বন্দ্ব সমাস সম্পর্কে জানবো। ১. বহুপদী দ্বন্দ্ব:সংজ্ঞা: তিন বা তারও অধিক পদ মিলে যদি কোনো দ্বন্দ্ব সমাস গঠিত হয়, তাকে বহুপদী দ্বন্দ্ব বলে।সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: এ সমাসের নাম থেকেই বোঝা যাচ্ছে যে, বহু পদ মিলে তৈরি হয় বলেই এর নাম ‘বহুপদী দ্বন্দ্ব’। আমরা জানি- সমাসে সাধারণত দুটি পদ থাকে। তবে, … Read more

দ্বন্দ্ব সমাস

অর্থ: ‘দ্বন্দ্ব’ শব্দের অর্থ- মিলন।সংজ্ঞা: যে সমাসে প্রত্যেকটি সমস্যমান পদের অর্থের প্রাধান্য থাকে, তাকে দ্বন্দ্ব সমাস বলে। সংজ্ঞা বিশ্লেষণ: সমস্তপদের সবগুলো পদের অর্থ প্রাধান্য পেলেই সেটা দ্বন্দ্ব সমাস হবে এ কারণেই একে ‘উভয়পদ প্রধান’ সমাস বলা হয়। উদাহরণ ব্যাখ্যা: ১. ঝড়বৃষ্টি। যদি বলা হয়- ‘বাইরে প্রচুর ঝড়বৃষ্টি হচ্ছে’; এর মানে কী? ঝড় হচ্ছে, না- কি … Read more

উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সহজ সূত্র

বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সমাসের যে জায়গাগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস অন্যতম। এর সংজ্ঞার বিশ্লেষণ আমরা অন্য একটি আলোচনায় পাবো। এখানে কেবল আমরা এক পলকেই উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সূত্রটা জেনে নেবো। মনে রাখতে হবে: বাক্য সংক্ষেপণ (এক কথায় প্রকাশ) ঘটে থাকলে এবং সমস্তপদের শেষে ক্রিয়া (কাজ)-বাচক পদ যুক্ত থাকলেই সেগুলো … Read more

অলুক দ্বন্দ্ব, অলুক তৎপুরুষ, অলুক বহুব্রীহি

সমাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে অলুক সমাস। কেননা মোট তিনটি সমাসের মধ্যে ‘অলুক’ রয়েছে। দুটি কথায় এ সমস্যার সমাধান করে নেওয়া যাক। আমরা জানি ‘অলুক’ অর্থ: বিভক্তি লোপ পায় না এমন। অর্থাৎ যে-সকল সমাসের সমস্তপদে বিভক্তি লোপ পায় না, বরং যুক্ত থাকে, সেগুলোকে অলুক সমাস বলে। মনে রাখবেন:১. সকল পদেই বিভক্তি যুক্ত থাকলে- অলুক … Read more