কর্ম কারক বনাম সম্প্রদান কারক

দুটো প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক।১. ‘ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।’ এ বাক্যে ‘ভিক্ষা’ কোন কারক?২. ‘ধোপাকে কাপড় দান করো।’ এ বাক্যে ‘ধোপাকে’ কোন কারক?আমি সম্ভবত আপনার উত্তরটা জানি। আপনি প্রথম প্রশ্নের উত্তর করেছেন ‘সম্প্রদান কারক’ এবং দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর করেছেন ‘কর্ম কারক’।আপনার উত্তর যদি এমনটাই হয়ে থাকে। তাহলে আপনি দুটো প্রশ্নেরই ভুল উত্তর করেছেন। এ ধরনের … Read more

নিলীন বর্ণ

‘নি’ অর্থ- না, ‘লীন’ অর্থ- লোপ পাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ‘নিলীন’ অর্থ- যা হারিয়ে যায় না। বাংলা বর্ণমালায় একটিমাত্র বর্ণ আছে যেটাকে ‘নিলীন বর্ণ’ বলা হয়। সেটি হচ্ছে ‘অ’।‘অ’কে নিলীন বর্ণ বলার কারণ হলো, এই বর্ণটি সকল ব্যঞ্জনের মধ্যেই অবস্থান করে, কখনোই হারায় না। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:যে-কোনো ব্যঞ্জনবর্ণকে ভাঙলেই তার মধ্যে একটি ‘অ’ পাওয়া … Read more

কর্ম বনাম ক্রিয়া

কর্ম ও ক্রিয়া চিনতে পারাটা ব্যাকরণ বোঝার জন্য খুব প্রয়োজন। কেননা ক্রিয়াপদ, কারকসহ ব্যাকরণের অনেক বিষয় বুঝতে গেলে কর্ম ও ক্রিয়া ঠিকঠাক চিনতে পারাটা আবশ্যক। কর্ম ও ক্রিয়ার মধ্যে আমাদের দ্বিধার মূল কারণটি হচ্ছে- সাধারণভাবে কর্ম বলতে আমরা ‘কাজ’ বুঝি, আবার ‘ক্রিয়া’ অর্থও ‘কাজ’। অপরদিকে, আমাদের বাংলা অভিধানগুলোতেও এ দুটি শব্দের অর্থ একই। অর্থাৎ কর্ম … Read more

সরল, জটিল ও যৌগিক বাক্য চেনার উপায়

আমরা জানি- গঠনগতভাবে বাক্য তিন প্রকার: ১. সরল বাক্য ২. জটিল বা মিশ্র বাক্য ৩. যৌগিকবাক্য কোনো একটি বাক্য দিয়ে যখন জিজ্ঞেস করা হয় ‘এটি কোন ধরনের বাক্য?’ অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এটা নিয়ে সংশয়ে ভুগি। খুব সহজে আজ এ সংশয় দূর করে ফেলবো।চলুন। বাক্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আমরা নিচের সূত্রগুলো মনে রাখবো:১. অব্যয় থাকলেই যৌগিক বাক্য। … Read more

বিশেষ্য, না-কি বিশেষণ?

ব্যাকরণের একটি ক্ষেত্রে প্রায়শই আমরা দ্বিধায় পড়ে যাই। সেটি হচ্ছে- বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ চিহ্নিত করা।এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, কোনো একটি পদকে চিরদিন ‘বিশেষ্য’ বা চিরদিন ‘বিশেষণ’ বলার সুযোগ নেই। অর্থাৎ একই পদ কখনো বিশেষ্য, আবার কখনো বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হতে পারে। তাহলে আমরা কীভাবে এটি আলাদাভাবে চিহ্নিত করবো? সেটিই শিখবো এখানে। আমরা নিশ্চয় জানি … Read more

অলুক দ্বন্দ্ব, অলুক তৎপুরুষ, অলুক বহুব্রীহি

সমাসের মধ্যে একটি গুরুত্বপূর্ণ সমস্যা হচ্ছে অলুক সমাস। কেননা মোট তিনটি সমাসের মধ্যে ‘অলুক’ রয়েছে। দুটি কথায় এ সমস্যার সমাধান করে নেওয়া যাক। আমরা জানি ‘অলুক’ অর্থ: বিভক্তি লোপ পায় না এমন। অর্থাৎ যে-সকল সমাসের সমস্তপদে বিভক্তি লোপ পায় না, বরং যুক্ত থাকে, সেগুলোকে অলুক সমাস বলে। মনে রাখবেন:১. সকল পদেই বিভক্তি যুক্ত থাকলে- অলুক … Read more

‘য়’-এর আগের বর্ণে কার-চিহ্ন না থাকলে

‘য়’-এর আগের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন যুক্ত না থাকলে উক্ত বর্ণটি ‘অ’ এর মতো উচ্চারিত হবে। যেমন: বিক্রয়। এখানে ‘য়’-এর আগের বর্ণের সঙ্গে কোনও কার-চিহ্ন নেই। তাই এখানে ‘ক্র’-এর উচ্চারণ ‘অ’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘বিক্ ক্রয়্’ (‘বিক্ ক্রোয়্’ নয়)। আরও উদাহরণ: আশ্রয় (আস্ স্রয়্), তন্ময় (তন্ ময়্), মহাশয় (মহাশয়্), হয় (হয়্), অভিনয় … Read more

শুরুতে স/সম/সদ/তদ/স্ব থাকলে

‘স’, ‘সম’ উপসর্গ এবং ‘সৎ (সদ)’, ‘তৎ (তদ)’ ও ‘স্ব’ শব্দ থাকলে উক্ত বর্ণটি অ-কাররূপে উচ্চারণ করতে হবে। যেমন: সজীব। এখানে ‘স’ উপসর্গ যুক্ত থাকায় ‘স’ বর্ণটিকে ‘অ’-যুক্ত আকারে উচ্চারণ করতে হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘শজিব্’ (‘শোজিব্’ নয়)। আবার, সংস্কার। এখানে ‘সম’ উপসর্গ (সম্+কার) যুক্ত থাকায় ‘স’ বর্ণটিকে ‘অ’-যুক্ত আকারে উচ্চারণ করতে হবে। সুতরাং … Read more

উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।

কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নিজস্ব অর্থ থাকাকে তার অর্থবাচকতা বলে। যেমন: ‘দেশ’ একটি শব্দ, যার নিজস্ব অর্থ (নির্দিষ্ট ভূখন্ড) রয়েছে; অর্থাৎ এর অর্থবাচকতা আছে। কিন্তু ‘প্র’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; অর্থাৎ অর্থবাচকতা নেই। কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতাকে তার অর্থদ্যোতকতা বলে। যেমন: ‘হার’ একটি শব্দ, যার অর্থ ‘পরাজয়’। … Read more

উপমান বনাম উপমিত

উপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাস নিয়ে প্রায়শই দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একটিমাত্র বাক্যে আমরা আজ এ সংশয় দূর করে নেবো। আমরা নিশ্চয় জানি- একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে তুলনা বোঝালে সাধারণভাবে সেটা উপমান বা উপমিত কর্মধারয় সমাস হয়। কীভাবে চিনবো?বিশেষণ (দোষ, গুণ, অবস্থা ইত্যাদি যে-কোনো বৈশিষ্ট্য) উল্লেখ থাকলে উপমান কর্মধারয় সমাস হবে; বিশেষণ উল্লেখ না থাকলে … Read more