বিড়াল-সৃজনশীল

গুরুত্বপূর্ণ অনুধাবনমূলক প্রশ্ন:
১। ‘কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই’- বুঝিয়ে লেখ।
২। ‘কমলাকান্ত ওয়াটারলুর মাঠে ব্যূহ-রচনায় ব্যস্ত’- কেন? ব্যাখ্যা করো।
৩। ‘আমি যে সেই চিরাগত প্রথার অবমাননা করিয়া মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার হইব’- উক্তিটি বিশ্লেষণ করো।
৪। বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর নেই কেন? ব্যাখ্যা করো।
৫। ‘আমি তোমার ধর্মের সহায়’- উক্তিটি কে এবং কেন করেছে?
৬। ‘অনাহারে মরিয়া যাইবার জন্য এ পৃথিবীতে কেহ আইসে নাই’- কথাটি বুঝিয়ে দাও।
৭। ‘তাহাদের রূপের ছটা দেখিয়া অনেক মার্জার কবি হইয়া পড়ে’- কোন প্রসঙ্গে উক্তিটি করা হয়েছে? ব্যাখ্যা করো।
৮। ‘চোরের দণ্ড হয়; চুরির মূল যে কৃপণ, তাহার দণ্ড হয় না’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
৯। ‘দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়া, লজ্জার কথা’- বুঝিয়ে দাও।
১০। ‘তেলা মাথায় তেল দেওয়া মনুষ্যজাতির রোগ’- উক্তিটি ব্যাখ্যা করো।
১১। ‘তিনি স্বচ্ছন্দে চোরকে ফাঁসি দিবেন’- ব্যাখ্যা করো।
১২। নসীরাম বাবুর ভাণ্ডারঘরে ধরা পড়ার কথা কে কাকে কেন বলেছে?
১৩। ‘তোমার কথাগুলি ভারি সোশিয়ালিস্টিক’ বলতে কী বোঝানো হয়েছে?
১৪। ‘অতএব পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়’- কোন প্রসঙ্গে এ কথা বলা হয়েছে?
১৫। ‘আমি তোমার ধর্মের সহায়’- কীভাবে? ব্যাখ্যা করো।

সৃজনশীল প্রশ্ন:
১। উদ্দীপকটি পড়ো এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
হাজি মুহাম্মদ মুহসিন একজন সম্ভ্রান্ত ও ধনী ব্যক্তি ছিলেন। তিনি এক রাতে নিজ বাসায় ঘুমাচ্ছিলেন। হঠাৎ একটি শব্দে তার ঘুম ভেঙে যায়। তিনি বুঝতে পারলেন যে তার ঘরে চোর ঢুকেছে। বিচলিত না হয়ে তিনি চোরটাকে ধরে ফেলেন। চোরটার শরীর কঙ্কালসার সে মুহসিনের পা জড়িয়ে ধরে বললো যে, সে এর আগে কোনোদিন চুরি করেনি। কিন্তু গতকাল থেকে খাবারের জন্য তার ছোটো ছেলেটা কাঁদছে। সে মানুষের কাছে ভিক্ষা চেয়েছে, কিন্তু কিছুই জোটেনি। নিরুপায় হয়ে সে এসেছে চুরি করতে। মুহসিনের দয়া হলো। তিনি চোরকে কিছু টাকা দিলেন। আর বললেন, ‘এই টাকা নিয়ে খাবার কিনে খাও, তারপর কাজ খোঁজো।’
ক) ‘নৈয়ায়িক’ শব্দের অর্থ কী?
খ) বিড়ালকে ‘পতিত আত্মা’ বলার কারণ কী? বুঝিয়ে লেখ।
গ) ‘বিড়াল’ রচনার বিড়াল ও উদ্দীপকের চোরের চুরি করার পেছনে কারণ মূলত কী? ব্যাখ্যা করো।
ঘ) উদ্দীপকের হাজি মুহাম্মদ মুহসিনের আচরণকে ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে মূল্যায়ন করো।

২। উদ্দীপকটি পড়ো এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
ঢাকা শহরের বস্তিগুলোতে হাজার হাজার মানুষ দারিদ্র্যসীমার নিচে বাস করে। মৌলিক অধিকার-বঞ্চিত এ মানুষেরা অপুষ্টি ও অনাহারে দিনের পর দিন অতিবাহিত করছে। এরা চিকিৎসাসেবা ও শিক্ষার আলো থেকেও বঞ্চিত। নিম্ন আয়ের এসব মানুষেরা অর্থের লোভে নানা রকম অপরাধে প্রতিনিয়ত জড়িয়ে পড়ছে। চুরি, ছিনতাই, মাদক ব্যাবসা, অস্ত্র চোরাচালান ইত্যাদি কাজেও তাদের সম্পৃক্ততার প্রমাণ মিলছে। সমাজের শিক্ষিত ও সম্মাননীয় মানুষেরা পাঁচতারা হোটেলে শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত কক্ষে বসে বস্তিবাসীদের নিয়ে যদিও সেমিনার, আলোচনা, পর্যালোচনা ইত্যাদি করে তাদের সময় কাটান, তাতে এসব বুভুক্ষু, অসহায় ও নিপীড়িত মানুষের ভাগ্য ফেরে না।
ক) বিড়ালকে মারার জন্য ধাবমান হলো কে?
খ) বিড়াল তাকে প্রহার করতে নিষেধ করেছে কেন? ব্যাখ্যা করো।
গ) উদ্দীপকে উল্লিখিত বস্তিবাসীদের জীবনযাত্রার সঙ্গে ‘বিড়াল’ রচনার বিড়ালের জীবনযাত্রার তুলনা করো।
ঘ) সমাজে ধনিক শ্রেণি ও উঁচুতলার মানুষদের গরিব, নিরন্ন ও অসহায়ের প্রতি কী ধরনের আচরণ করা উচিত? উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।

৩। উদ্দীপকটি পড়ো এবং সংশ্লিষ্ট প্রশ্নগুলোর উত্তর দাও:
দণ্ডিতের সাথে দণ্ডদাতা কাঁদে যবে সমান আঘাতে সর্বশ্রেষ্ঠ সে বিচার।
ক) কে বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছে শিক্ষালাভ ব্যতীত মানুষের জ্ঞানোন্নতির উপায়ান্তর দেখে না?
খ) ‘পুরুষের ন্যায় আচরণ করাই বিধেয়’- কী প্রসঙ্গে বলা হয়েছে এবং কেন?
গ) উদ্দীপকের কোন ভাবটি ‘বিড়াল’ রচনার সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ?
ঘ) ‘অপরাধীর শাস্তিতে বিচারক ব্যথিত হলে সে বিচারই শ্রেষ্ঠ বিচার’- উদ্দীপক ও ‘বিড়াল’ রচনার আলোকে বিশ্লেষণ করো।