বিড়াল-শব্দ ধরে পড়ি

১। কমলাকান্ত শোবার ঘরে কিসের ওপর বসেছিল?
উত্তর: চারপায়ীর ওপর
২। কমলাকান্ত কী হাতে নিয়ে ঝিমাচ্ছিল?
উত্তর: হুঁকা
৩। ঘরের মধ্যে একটু মিট্ মিট্ করে কী জ্বলছিল?
উত্তর: ক্ষুদ্র আলো
৪। দেয়ালের উপর কী দেখা যাচ্ছিল?
উত্তর: চঞ্চল ছায়া
৫। দেয়ালের উপর ছায়াটি কিসের মতো নাচছিল?
উত্তর: প্রেতের মতো (প্রেতবৎ)
৬। কমলাকান্ত কেন হুঁকা হাতে নিয়ে বসে ছিল?
উত্তর: খাবার প্রস্তুত হয়নি বলে
৭। কমলাকান্ত কেমনভাবে ওয়াটার্লু যুদ্ধ নিয়ে ভাবছিল?
উত্তর: চোখ বুজে
৮। নেপোলিয়ন কোন যুদ্ধে পরাজিত হন?
উত্তর: ওয়াটারলু
৯। হঠাৎ করে হওয়া ‘মেও’ শব্দটিকে লেখক গল্পে কীভাবে চিহ্নিত করেছেন?
উত্তর: ক্ষুদ্র শব্দ
১০। কে বিড়ালত্ব প্রাপ্ত হয়ে কমলাকান্তের নিকট এসেছিল বলে সে ধারণা করেছিল?
উত্তর: ওয়েলিংটন
[নোট: আফিং ভিক্ষা করতে।]
১১। প্রথম উদ্যমে কমলাকান্ত বিড়ালটির সাথে কীভাবে কথা বলবে বলে ঠিক করে?
উত্তর: কঠিন হয়ে
[নোট: পাষাণবৎ কঠিন হয়ে।]
১২। কমলাকান্তের মতে কাকে ইতোপূর্বে যথোচিত পুরস্কার দেওয়া হয়েছে?
উত্তর: ডিউক মহাশয়কে
[নোট: পুরস্কার: ওয়াটার্লু যুদ্ধে বিজয়।]
১৩। কোনটি ভালো নয়?
উত্তর: অপরিমিত লোভ
১৪। দেয়ালের উপর ছায়াটি প্রকৃত অর্থে কার ছিল?
উত্তর: বিড়ালের
[নোট: পুরস্কার: ক্ষুদ্র মার্জারের।]
১৫। কে কমলাকান্তের জন্য দুগ্ধ রেখে গিয়েছিল?
উত্তর: প্রসন্ন
১৬। কমলাকান্তের খাবার দুধটুকু নিঃশেষ করে বিড়ালটি কী করেছে?
উত্তর: উদরসাৎ করেছে
১৭। বিড়াল যখন দুধ সাবাড় করছিল, তখন কমলাকান্ত কী নিয়ে ব্যস্ত ছিল?
উত্তর: ব্যূহ-রচনায়
[নোট: ব্যূহ-রচনা: কল্পনায়, ওয়াটার্লু যুদ্ধ।]
১৮। বিড়ালকে কমলাকান্ত কী নামে ডেকেছে?
উত্তর: মার্জারপণ্ডিত, মার্জারসুন্দরী, মার্জারী, মার্জার, মার্জারী মহাশয়া
১৯। বিড়ালটি কী পানে পরিতৃপ্ত হলো?
উত্তর: নির্জল দুগ্ধ
[নোট: নির্জল দুগ্ধ (‘নির্জল’ বলতে ‘খাঁটি’ বা ‘জল মেশানো নয় এমন’ বোঝানো হয়েছে)।]
২০। বিড়ালটি কেমন স্বরে ডাকছিল?
উত্তর: মধুর স্বরে
[নোট: ‘মেও’ বলে ডাকছিল।]
২১। বিড়ালটির ডাকের মধ্যে কী ছিল?
উত্তর: ব্যঙ্গ
২২। মার্জার মনে মনে কী করছিল বলে কমলাকান্তের মনে হলো?
উত্তর: হাসছিল
২৩। মার্জার মনে মনে কী ভাবছিল বলে কমলাকান্তের মনে হলো?
উত্তর: কেহ মরে বিল ছেঁচে, কেহ খায় কই
২৪। বিড়ালটির ‘মেও’ শব্দে কীসের অভিপ্রায় ছিল?
উত্তর: মন বোঝার
২৫। মঙ্গলা কে?
উত্তর: গাভী
২৬। কে দুধ দুয়েছে?
উত্তর: প্রসন্ন
২৭। ‘সুতরাং রাগ করিতে পারি না’- কেন?
উত্তর: সে দুধে বিড়ালেরও সমান অধিকার ছিল বলে
২৮। বিড়াল দুধ খেয়ে গেলে কী করতে হয়?
উত্তর: তেড়ে মারতে যেতে হয়
[নোট: এটি একটি চিরাগত প্রথা হিসেবে বিবেচিত]
২৯। চিরাগত প্রথার অবমাননা করলে মনুষ্যকুলে কী হিসেবে পরিচিত হতে হবে?
উত্তর: কুলাঙ্গার
৩০। কোনটি বাঞ্চনীয় নয়?
উত্তর: চিরাগত প্রথার অবমাননা করে মনুষ্যকুলে কুলাঙ্গার বলে বিবেচিত হওয়া
৩১। পুরুষের মতো আচরণ করাই …………।
উত্তর: বিধেয়
৩২। বিড়ালকে না মারলে সে তার স্বজাতিমণ্ডলে কমলাকান্তকে কী বলে উপহাস করতে পারে?
উত্তর: কাপুরুষ
৩৩। কমলাকান্ত কী স্থির করলো?
উত্তর: পুরুষের মতো আচরণ করাই বিধেয়
৩৪। কমলাকান্ত কীভাবে মার্জারীর প্রতি ধাবমান হলো?
উত্তর: সকাতরচিত্তে, হাত থেকে হুঁকা নামিয়ে, সগর্বে
৩৫। কমলাকান্ত অনেক অনুসন্ধানে কী আবিষ্কার করলো?
উত্তর: একটি ভগ্ন যষ্টি
৩৬। ‘বিড়াল’ রচনায় কে, কাকে চিনত?
উত্তর: মার্জারী কমলাকান্তকে
৩৭। যষ্টি দেখে বিড়ালের অবস্থা কী হলো?
উত্তর: বিশেষ ভীত হলো না
৩৮। যষ্টি দেখে বিড়াল কী করলো?
উত্তর: হাই তুললো, সরে বসলো
৩৯। বিড়ালের প্রশ্ন বুঝতে পেরে কমলাকান্ত কী করলো?
উত্তর: যষ্টি ত্যাগ করলো, শয্যায় ফিরে গেল, হুঁকাটি হাতে নিল
৪০। কমলাকান্ত কী প্রাপ্ত হলো?
উত্তর: দিব্যকর্ণ
৪১। কমলাকান্ত কী বুঝতে পারলো?
উত্তর: মার্জারের বক্তব্যসকল
৪২। ‘মারপিট কেন?’- কে বলেছে?
উত্তর: বিড়াল
৪৩। বিড়াল কমলাকান্তকে কোন কাজটি করতে বলেছে?
উত্তর: স্থির হতে, হুঁকা হাতে নিয়ে বিচার করে দেখতে বলেছে
৪৪। ‘বিড়াল’ রচনায় কোন কোন খাবারের কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ক্ষীর, সর, দুগ্ধ, মৎস্য, মাংস
৪৫। কার ক্ষুৎপিপাসা আছে?
উত্তর: সকলের
৪৬। ‘মানুষের খাওয়া’-তে বিড়ালের …………… নাই।
উত্তর: আপত্তি
৪৭। বিড়ালে খাবার খেলেই মানুষ কী দিয়ে মারতে যায়?
উত্তর: ঠেঙ্গা লাঠি
৪৮। বিড়াল কোন ব্যাপারটি অনেক অনুসন্ধানেও বুঝতে পারেনি?
উত্তর: তাকে লাঠি নিয়ে মারতে যাওয়ার কারণ
৪৯। বিড়াল কাকে তার কাছ থেকে উপদেশ গ্রহণ করতে বলেছে?
উত্তর: সকল মানুষকে
৫০। কার কাছ থেকে মানুষকে শিক্ষালাভ করতে হবে?
উত্তর: বিজ্ঞ চতুষ্পদের কাছ থেকে
[নোট: বিড়াল নিজেকে ‘বিজ্ঞ চতুষ্পদ’ বলে উল্লেখ করেছে।]
৫১। তার কাছ থেকে শিক্ষালাভ ছাড়া বিড়ালটি কোন ক্ষেত্রে মানুষের কোনো উপায়ান্তর দেখতে পায় না?
উত্তর: জ্ঞানোন্নতির
৫২। কী দেখে বিড়াল বুঝতে পেরেছে যে মানুষকে তার কাছ থেকে শিক্ষালাভ করতে হবে?
উত্তর: বিদ্যালয়গুলো দেখে
৫৩। বিড়ালটি কমলাকান্তকে কী বলে সম্বোধন করেছে?
উত্তর: শয্যাশায়ী মনুষ্য
৫৪। কোনটি পরম ধর্ম?
উত্তর: পরোপকার
৫৫। কীভাবে বিড়ালের পরম উপকার হয়েছে?
উত্তর: দুধটুকু পান করে
৫৬। কমলাকান্তের আহরিত দুগ্ধে কী সিদ্ধ হলো?
উত্তর: পরোপকার
৫৭। কমলাকান্ত কীসের ফলভোগী?
উত্তর: পরম ধর্মের (এখানে পরোপকারকে ‘পরম ধর্ম’ আখ্যা দেওয়া হয়েছে)
[নোট: বিড়ালটি দুগ্ধপানে উপকার পাওয়ায়; অর্থাৎ পরোপকার সিদ্ধ হওয়ায়।]
৫৮। বিড়ালটি কীসের কারণ?
উত্তর: ধর্মসঞ্চয়ের
[নোট: ধর্মসঞ্চয়ের ‘মূলীভূত কারণ’।]
৫৯। বিড়ালটি তার প্রশংসা করতে বলেছে কেন?
উত্তর: সে ধর্মের সহায় এবং ধর্মসঞ্চয়ের মূলীভূত কারণ বলে
৬০। কারা চোর অপেক্ষাও অধার্মিক?
উত্তর: যেসব সাধু চোরের নামে শিউরে ওঠেন
৬১। যাঁরা চুরি করেন না, তাঁরা কেন চুরি করেন না?
উত্তর: তাঁদের চুরি করার প্রয়োজন নেই বলে
৬২। চোরেরা কী কারণে চোর হয়?
উত্তর: ধনীরা তাদের প্রয়োজনের অতিরিক্ত ধন দরিদ্রকে দেয় না বলে
৬৩। প্রকৃতপক্ষে ‘অধর্ম’ কার?
উত্তর: কৃপণ ধনীর
৬৪। চোরের চাইতে শতগুণে দোষী কে?
উত্তর: কৃপণ ধনী
৬৫। চুরির মূল কে?
উত্তর: কৃপণ
৬৬। বিড়াল কোথায় মেও মেও করে বেড়ায়?
উত্তর: প্রাচীরে প্রাচীরে, প্রাঙ্গণে প্রাঙ্গণে, প্রাসাদে প্রাসাদে
৬৭। কোনটি তাকে দেওয়া হয় না বলে বিড়াল অভিযোগ করেছে?
উত্তর: মাছের কাঁটা ও পাতের ভাত
৬৮। বিড়ালের খাবার মানুষ কোথায় ফেলে দেয়?
উত্তর: নর্দমায়, জলে
৬৯। বিড়ালের পেটের ক্ষুধা মানুষ জানতে পারে না কেন?
উত্তর: কারণ মানুষের পেট ভরা
৭০। কার জন্য ব্যথিত হওয়ায় কোনো অগৌরব নেই?
উত্তর: দরিদ্রের জন্য
৭১। দরিদ্রের ব্যথায় ব্যথিত হওয়াকে ‘লজ্জার কথা’ বলার মধ্য দিয়ে বিড়ালটি কী প্রকাশ করেছে?
উত্তর: ব্যঙ্গ
৭২। যে কখনো অন্ধকে সাহায্য করে না, সেও কার বিপদে নির্ঘুম রাত কাটায়?
উত্তর: একটা বড়ো রাজার বিপদে
[নোট: অন্ধকে সাহায্য: মুষ্টি-ভিক্ষা; বড়ো রাজা: বড়ো/উচ্চপদস্থ মানুষ/সমাজপতি]
৭৩। কে পরের ব্যথায় ব্যথিত হতে রাজি?
উত্তর: সকলেই
৭৪। ‘তবে ছোটলোকের দুঃখে কাতর! ছি!’- এ উক্তিতে কী প্রকাশ পেয়েছে?
উত্তর: ব্যঙ্গ
৭৫। কাদেরকে মানুষ বিশেষ স্থান দেয়?
উত্তর: সমাজপতিদের, ন্যায়শাস্ত্রের পণ্ডিতদের
[নোট: সমাজপতি: শিরোমণি; ন্যায়শাস্ত্রের পণ্ডিত: ন্যায়ালংকার/নৈয়ায়িক]
৭৬। সমাজপতিদের সামনে মানুষ নিজেদের কীভাবে উপস্থাপন করে থাকে?
উত্তর: জোড়হাত অবস্থায়
৭৭। বিড়ালটি সমাজপতি ও ন্যায়শাস্ত্রের পণ্ডিতদের কী কী বিশেষণ প্রদান করেছে?
উত্তর: অতি পণ্ডিত, বড়ো মান্য লোক
৭৮। বিড়ালের মতে কাদের ক্ষুধা তার চেয়ে বেশি নয়?
উত্তর: পণ্ডিত ও মান্য লোকেদের
৭৯। ‘মনুষ্যজাতির রোগ’ কোনটি?
উত্তর: তেল মাথায় তেল দেওয়া
৮০। কার ক্ষুধা কেউ বোঝে না?
উত্তর: দরিদ্রের ক্ষুধা
৮১। মানুষ কার জন্য ভোজের আয়োজন করে?
উত্তর: খেতে বললে যে বিরক্ত হয়
৮২। চোর কিসের জ্বালায় চুরি করে?
উত্তর: ক্ষুধার জ্বালায়
[নোট: চুরি করে খাওয়াকে এ গল্পে ‘বিনা আহ্বানেই অন্ন খাওয়া’ বলে উপস্থাপন করা হয়েছে।]
৮৩। কোনো বিড়ালের পুষ্টি হয় কখন?
উত্তর: মানুষের সোহাগের বিড়াল হতে পারলে
[নোট: সোহাগের বিড়াল: গৃহমার্জার, বৃদ্ধের নিকট যুবতী ভার্যার সহোদর, মূর্খ ধনীর কাছে সতরঞ্চ খেলোয়াড়ের স্থানীয়]
৮৪। পুষ্টি পেলে বিড়ালের কী অবস্থা হয়?
উত্তর: লেজ ফোলে, গায়ে লোম হয়
৮৫। কার রূপের ছটা দেখে অনেক মার্জার কবি হয়ে পড়ে?
উত্তর: পুষ্টি পাওয়া বিড়ালের, গৃহমার্জারের
৮৬। সাধারণ বিড়ালের অবস্থা কেমন?
উত্তর: উদর কৃশ, অস্থি পরিদৃশ্যমান, লাঙ্গুল বিনত, দাঁত বাহির হয়ে থাকে, জিহ্বা ঝুলে পড়ে
৮৭। সাধারণ বিড়ালদের শারিরীক দুরবস্থার কারণ কী?
উত্তর: খেতে না পাওয়া
৮৮। ‘আমাদের কালো চামড়া দেখিয়া ঘৃণা করিও না!’- এ উক্তিতে সমাজের কোন দিকটির প্রতি নির্দেশ করা হয়েছে?
উত্তর: বর্ণবৈষম্য
৮৯। পৃথিবীর কোনটিতে বিড়ালের অধিকার আছে?
উত্তর: মৎস্য মাংসে
৯০। বিড়ালের কোন অবস্থা দেখে মানুষের দুঃখ হওয়া উচিত?
উত্তর: কৃষ্ণ চর্ম, শুষ্ক মুখ, ক্ষীণ সকরুণ মেও মেও শুনে
৯১। বিড়ালের প্রশ্ন অনুসারে নিচের কোনটির দণ্ড নেই?
উত্তর: নির্দয়তার, কার্পণ্যের
৯২। কমলাকান্তকে বিড়ালটি কোন বিশেষণ প্রদান করেছে?
উত্তর: শয্যাশায়ী মানুষ, দূরদর্শী, আফিংখোর
৯৩। কার দোষে, কে চোর হয়?
উত্তর: ধনীর দোষে দরিদ্র চোর হয়
৯৪। ধনীর ভোগের পরের অতিরিক্ত অংশকে বিড়াল কী বলে অভিহিত করেছে?
উত্তর: ‘বাহিয়া পড়া’ অংশ
৯৫। কিসের জন্য কেউ এ পৃথিবীতে আসে নি?
উত্তর: অনাহারে মরার জন্য
৯৬। বিড়ালের কথায় কমলাকান্তের অবস্থা কী হলো?
উত্তর: সহ্য করতে পারলো না
৯৭। বিড়ালের কথাগুলো কেমন ছিল?
উত্তর: সোশিয়ালিস্টিক, নীতিবিরুদ্ধ
৯৮। কোনটি সমাজবিশৃঙ্খলার মূল?
উত্তর: সোশিয়ালিস্টিক মতবাদ
৯৯। কী না হলে কেউ ধনসঞ্চয়ে যত্ন করবে না?
উত্তর: ক্ষমতানুযায়ী ধনসঞ্চয় না করতে পারলে, সঞ্চিত ধন চোরের জ্বালায় নির্বিঘ্নে ভোগ করতে না পারলে
১০০। সমাজের ধনবৃদ্ধির অর্থ কী?
উত্তর: ধনীর ধনবৃদ্ধি
১০১। কোনটি ব্যতীত সমাজের উন্নতি নাই?
উত্তর: সামাজিক ধনবৃদ্ধি ব্যতীত
১০২। ‘সমাজের উন্নতি লইয়া কী করিব?’- এ উক্তির মধ্য দিয়ে বিড়ালের কোন মনোভাবের প্রকাশ ঘটেছে?
উত্তর: রাগ
১০৩। কাকে বোঝানো দায় হলো?
উত্তর: বিড়ালকে
১০৪। কাকে কস্মিনকালে কিছু বোঝানো যায় না?
উত্তর: যে বিচারক বা নৈয়ায়িক
[নোট: নৈয়ায়িক: ন্যায়শাস্ত্রে পণ্ডিত ব্যক্তি]
১০৫। ‘ন্যায়শাস্ত্রে পণ্ডিত ব্যক্তি’ বোঝাতে কোন কোন শব্দ এ গল্পে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: নৈয়ায়িক
১০৬। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কোন কোন বিশেষণ প্রদান করেছে?
উত্তর: সুবিচারক ও সুতার্কিক
[নোট: এ কারণেই বিড়ালটির ‘না বোঝার অধিকার’ আছে বলে কমলাকান্ত মনে করে এছাড়া, তাকে ‘পতিত আত্মা’ বিশেষণেও অভিহিত করা হয়েছে।]
১০৭। সমাজের উন্নতিতে ধনীদের কী ধরনের প্রয়োজন আছে?
উত্তর: বিশেষ প্রয়োজন
১০৮। ‘অতএব চোরের দণ্ডবিধান কর্তব্য’- কেন?
উত্তর: সমাজের উন্নতিতে ধনীদের বিশেষ প্রয়োজন আছে বলে
১০৯। বিড়াল কাকে তিন দিন উপবাস করতে বলেছে?
উত্তর: বিচারককে, কমলাকান্তকে
১১০। ‘বিড়াল’ গল্পে কার ভাণ্ডারঘরের কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: নসীরাম বাবুর
[নোট: কমলাকান্ত তিন দিন উপবাস করলে তাকে নসীবাবুর ভাণ্ডারঘরে ধরা পড়তে হবে বলে বিড়ালটি মন্তব্য করেছে।]
১১১। বিজ্ঞ লোকের মতে, বিচারে পরাস্ত হলে কী করতে হবে?
উত্তর: গম্ভীরভাবে উপদেশ প্রদান করতে হবে
১১২। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কী পরিত্যাগ করতে বলেছে?
উত্তর: দুশ্চিন্তা
১১৩। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কীসে মন দিতে বলেছে?
উত্তর: ধর্মাচরণে
১১৪। কমলাকান্ত পাঠার্থে বিড়ালটিকে কোন কোন লেখকের বই দিতে চেয়েছে?
উত্তর: নিউমান ও পার্করের বই
১১৫। কী পড়লে বিড়ালের উপকার হবে বলে কমলাকান্ত মন্তব্য করেছে?
উত্তর: নিউমানের বই, পার্করের বই, কমলাকান্তের দপ্তর
১১৬। ‘কমলাকান্তের দপ্তর’ পড়ে বিড়াল অন্তত কী বুঝতে পারবে?
উত্তর: আফিঙের অসীম মহিমা
১১৭। পরদিন প্রসন্ন কী দিয়ে যাবে?
উত্তর: ছানা
১১৮। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে পরদিন কখন আসতে বললো?
উত্তর: জলযোগের সময়
১১৯। কমলাকান্ত কোন অবস্থায় বিড়ালকে পুনর্বার আসার অনুমতি দিলো?
উত্তর: ক্ষুধায় নিতান্ত অধীর হলে
১২০। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কী দেয়ার প্রতিশ্রুতি প্রদান করলো?
উত্তর: ছানা, আফিং
১২১। কমলাকান্ত বিড়ালটিকে কতটুকু আফিং দিতে চেয়েছে?
উত্তর: এক সরিষাভোর
১২২। বিড়ালের কিসের প্রয়োজন নেই বলে সে উল্লেখ করেছে?
উত্তর: আফিঙের
১২৩। হাঁড়ি খাওয়ার কথা বিড়ালটি কী অনুসারে বিবেচনা করবে?
উত্তর: ক্ষুধা অনুসারে
[নোট: হাঁড়ি খাওয়া: খাবার খাওয়া]
১২৪। কী ভেবে কমলাকান্তের বড় আনন্দ হলো?
উত্তর: একটি পতিত আত্মাকে অন্ধকার হতে আলোকে এনেছে ভেবে
১২৫। ‘বিড়াল’ রচনায় ‘আমি’ কে?
উত্তর: কমলাকান্ত