‘ছিল’, না-কি ‘ছিলো’?

ক্রিয়ার শেষে ও-কার ব্যবহার করবো, না-কি করবো না? এ প্রশ্নটি প্রায়ই শুনতে পাওয়া যায়। এর একটি সহজ সমাধান আজ শিখে নেবো, চলুন। ছিল, দিলো, হতো, নিল- এ ধরনের ক্রিয়াগুলো নাম পুরুষের ক্ষেত্রে ব্যবহৃত হয়। নাম পুরুষ বলতে ‘অনুপস্থিত’ ব্যক্তি বা কোনো নামকে বোঝায়। যেমন: সে, তারা, রহিম, করিম। ওপরের ক্রিয়াগুলো এ ধরনের কর্তার সঙ্গেই বসে। … Read more

জি/জ্বি/জ্বী ও হজ/হজ্ব নিয়ে বিভ্রাট

‘জি’, ‘জ্বি’, ‘জ্বী’- এ তিনটার মধ্যে কোনটা সঠিক?শুরুতেই জেনে নেয়া দরকার- এটি একটি সম্মানসূচক আরবি শব্দ। এখন চলুন, সঠিক বানানটি ব্যাখ্যাসহ শিখে নেওয়া যাক। বিশ্লেষণ: ১. বিদেশি শব্দের বানানে ঈ-কার বসে না। সুতরাং ‘জ্বী’ হওয়ার কোনও সুযোগ নেই। ২. বিদেশি শব্দের বানানে কখনোই অনুচ্চারিত ব-ফলা যুক্ত হয় না। এখানে ‘জ্বি’বানানটিতে যে ব-ফলাটি রয়েছে, সেটি উচ্চারিত … Read more

কখন ‘ই’, কখন ‘য়’?

ক্রিয়াপদের শেষে ‘ই’ ও ‘য়’-এর ব্যবহারে হরহামেশাই ভুল করতে দেখা যায়। এর খুব সহজ সমাধান আছে। চলুন শিখে নিই। নিয়ম ও উদাহরণ: ১. উত্তম পুরুষ ‘আমি’/‘আমরা’-এর পরে ক্রিয়ার সঙ্গে ‘ই’ যুক্ত হবে। যেমন: আমি খাই। আমরা যাই। ২. নাম পুরুষ ‘সে’/‘তারা’-এর পরে ক্রিয়ার সঙ্গে ‘য়’ যুক্ত হবে। যেমন: সে খায়। তারা যায়। ৩. কোনো ব্যক্তির … Read more

‘স্ত’ ও ‘স্থ’ নিয়ে যন্ত্রণা

‘মুখস্থ’, না-কি ‘মুখস্ত’? ‘ক্ষতিগ্রস্ত’, না-কি ‘ক্ষতিগ্রস্থ’?এই ‘স্ত’ ও ‘স্থ’ নিয়ে বড্ড ঝামেলা পোহাতে হয় আমাদের। আজ চলুন এ সংক্রান্ত সমস্যা থেকে মুক্তির পথ খোঁজা যাক। এ দুটি শব্দাংশের ব্যবহার মনে রাখার জন্য শঙ্খ ঘোষ তাঁর ‘শব্দ নিয়ে খেলা’ বইতে দারুণ একটি সূত্র দিয়েছেন: যে শব্দের শেষে ‘স্থ’ হয়, সেখানে ওটা ছেড়ে দিলেও একটা মানে পাওয়া … Read more

ইংরেজি শব্দ হওয়া সত্ত্বেও ‘কী-বোর্ড’ বানানে ঈ-কার কেন?

আমরা জানি- বাংলা একাডেমি প্রমিত বাংলা বানানের নিয়ম বলছে, বিদেশি শব্দের বানানে ঈ-কার হবে না। সংগত কারণেই প্রশ্ন চলে আসে- তাহলে বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান-এ ইংরেজি ‘keyboard’ শব্দটির বাংলা বানানে ‘কি-বোর্ড’ না লিখে ‘কী-বোর্ড’ কেন লেখা হলো? এটা কি বাংলা একাডেমির স্বেচ্ছাচারিতার নিদর্শন নয়? বাংলা একাডেমিকে গালমন্দ করার আগে, চলুন শব্দটি নিয়ে একটু আলোচনা … Read more

‘কখনও, না-কি কখনো’?

অধিক পরিমাণ, পর্যন্ত, এমনকি ইত্যাদি বোঝাতে বা শব্দে জোর প্রয়োগ করতে ‘ও’-কে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে; ও-কার হিসেবে লেখা যাবে না। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা: ১. আরও শিখতে হবে। এ বাক্যে ‘ও’-টা ‘অধিক পরিমাণ’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সে কারণে এখানে বর্ণটিকে ‘আর’-এর সঙ্গে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে। কার-চিহ্ন আকারে (আরো) লেখা যাবে … Read more

‘না’ ও ‘নি’-এর ব্যবহার

না-বাচক শব্দ ‘না’ ও ‘নি’ ব্যবহারের ক্ষেত্রে পৃথক নির্দেশনা মেনে লিখতে হবে। নিয়ম ও উদাহরণ:১. না-বাচক ‘না’-কে স্বতন্ত্র পদ হিসেবে লিখতে হবে।যেমন: করি না (‘করিনা’ নয়), বলি না (‘বলিনা’ নয়)। ২. না-বাচক ‘নি’-কে আগের পদের সঙ্গে যুক্ত করে লিখতে হবে। যেমন: করিনি (‘করি নি’ নয়), বলিনি (‘বলি নি’ নয়)। দ্রষ্টব্য: না-বাচক অর্থে ‘না’ যদি শব্দের … Read more

‘এখনই’, না-কি ‘এখনি’?

নিশ্চয় বোঝাতে বা শব্দে জোর প্রয়োগ করতে ‘ই’-কে কার-চিহ্ন আকারে লেখা যাবে না; পূর্ণবর্ণ আকারে আগের বর্ণের সঙ্গে যুক্ত করে লিখতে হবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:১. কাজটি আজই করতে হবে।২. এখনই পড়তে বসো।এ দুটি বাক্যে শব্দে জোর প্রয়োগ করা হচ্ছে। সে কারণে ‘ই’-কে কার-চিহ্ন আকার (আজি, এখনি) লেখা যাবে না। পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে (আজই, এখনই) … Read more

ইংরেজি শব্দের বাংলা রূপান্তর: কোথায় ‘স’, কোথায় ‘শ’?

ইংরেজি শব্দের বাংলা রূপান্তরের ক্ষেত্রে s ধ্বনির জন্য ‘স’ এবং -sh, -sion, -ssion, -tion স্থানে ‘শ’ লিখতে হবে। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:পাস (‘পাশ’ নয়)। এ শব্দটির ইংরেজি (Pass) বানানে ‘s’ বর্ণটি রয়েছে এবং এ শব্দটির ইংরেজি উচ্চারণও ‘স’-এর মতো (‘শ’-এর মতো নয়)। সুতরাং শব্দটির বানানে ‘স’ লিখতে হবে।প্যাশন (‘প্যাসন’ নয়)। এ শব্দটির ইংরেজি (Passion) বানানে ‘ssion’ … Read more

হস-চিহ্ন বর্জন করতে হবে

আগে বাংলা বানানে হস-চিহ্ন ব্যবহারের রীতি ছিল।যেমন: কলকল্, চট্, ঝড়্, কর্ ইত্যাদি।কিন্তু আধুনিককালে কোনো শব্দের বাংলা বানানে হস-চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে না।যেমন: কলকল, চট. ঝড়, কর, চেক (‘চেক্’ নয়), বল (‘বল্’ নয়), জজ (‘জজ্’ নয়), ডিশ, (‘ডিশ্’ নয়)। তবে যদি অর্থবিভ্রান্তি বা ভুল উচ্চারণের কোনও আশঙ্কা থাকে, সেসব ক্ষেত্রে হস-চিহ্ন ব্যবহার করা যাবে।যেমন: ‘বাহ’ শব্দটির … Read more