বাংলা ব্যাকরণে, বিশেষত বাংলা শব্দের বানানের ক্ষেত্রে তৎসম শব্দ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি বিষয়। তৎসম শব্দ চেনার কিছু সূত্র আমরা এখানে শিখে নেবো। শব্দের মধ্যে যা যা থাকলে সেগুলো নিঃসন্দেহে তৎসম শব্দ হবে:১। ঈ, ঊ, ঋ, ণ ও ষ এবং এদের সংক্ষিপ্ত রূপ (ী, , ) থাকলে তৎসম শব্দ হবে। তবে ষ থাকলেও তৎসম হবে না …
Read MoreCategory: ব্যাকরণ চর্চা
উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সহজ সূত্র
বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সমাসের যে জায়গাগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস অন্যতম। এর সংজ্ঞার বিশ্লেষণ আমরা অন্য একটি আলোচনায় পাবো। এখানে কেবল আমরা এক পলকেই উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সূত্রটা জেনে নেবো। মনে রাখতে হবে: বাক্য সংক্ষেপণ (এক কথায় প্রকাশ) ঘটে থাকলে এবং সমস্তপদের শেষে ক্রিয়া (কাজ)-বাচক পদ যুক্ত থাকলেই সেগুলো …
Read Moreকর্ম কারক বনাম সম্প্রদান কারক
দুটো প্রশ্ন দিয়ে শুরু করা যাক।১. ‘ভিক্ষুককে ভিক্ষা দাও।’ এ বাক্যে ‘ভিক্ষা’ কোন কারক?২. ‘ধোপাকে কাপড় দান করো।’ এ বাক্যে ‘ধোপাকে’ কোন কারক?আমি সম্ভবত আপনার উত্তরটা জানি। আপনি প্রথম প্রশ্নের উত্তর করেছেন ‘সম্প্রদান কারক’ এবং দ্বিতীয় প্রশ্নটির উত্তর করেছেন ‘কর্ম কারক’।আপনার উত্তর যদি এমনটাই হয়ে থাকে। তাহলে আপনি দুটো প্রশ্নেরই ভুল উত্তর করেছেন। এ ধরনের …
Read Moreনিলীন বর্ণ
‘নি’ অর্থ- না, ‘লীন’ অর্থ- লোপ পাওয়া বা হারিয়ে যাওয়া। অর্থাৎ ‘নিলীন’ অর্থ- যা হারিয়ে যায় না। বাংলা বর্ণমালায় একটিমাত্র বর্ণ আছে যেটাকে ‘নিলীন বর্ণ’ বলা হয়। সেটি হচ্ছে ‘অ’।‘অ’কে নিলীন বর্ণ বলার কারণ হলো, এই বর্ণটি সকল ব্যঞ্জনের মধ্যেই অবস্থান করে, কখনোই হারায় না। উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:যে-কোনো ব্যঞ্জনবর্ণকে ভাঙলেই তার মধ্যে একটি ‘অ’ পাওয়া …
Read Moreকর্ম বনাম ক্রিয়া
কর্ম ও ক্রিয়া চিনতে পারাটা ব্যাকরণ বোঝার জন্য খুব প্রয়োজন। কেননা ক্রিয়াপদ, কারকসহ ব্যাকরণের অনেক বিষয় বুঝতে গেলে কর্ম ও ক্রিয়া ঠিকঠাক চিনতে পারাটা আবশ্যক। কর্ম ও ক্রিয়ার মধ্যে আমাদের দ্বিধার মূল কারণটি হচ্ছে- সাধারণভাবে কর্ম বলতে আমরা ‘কাজ’ বুঝি, আবার ‘ক্রিয়া’ অর্থও ‘কাজ’। অপরদিকে, আমাদের বাংলা অভিধানগুলোতেও এ দুটি শব্দের অর্থ একই। অর্থাৎ কর্ম …
Read Moreসরল, জটিল ও যৌগিক বাক্য চেনার উপায়
আমরা জানি- গঠনগতভাবে বাক্য তিন প্রকার: ১. সরল বাক্য ২. জটিল বা মিশ্র বাক্য ৩. যৌগিকবাক্য কোনো একটি বাক্য দিয়ে যখন জিজ্ঞেস করা হয় ‘এটি কোন ধরনের বাক্য?’ অনেক ক্ষেত্রেই আমরা এটা নিয়ে সংশয়ে ভুগি। খুব সহজে আজ এ সংশয় দূর করে ফেলবো।চলুন। বাক্য নির্ণয়ের ক্ষেত্রে আমরা নিচের সূত্রগুলো মনে রাখবো:১. অব্যয় থাকলেই যৌগিক বাক্য। …
Read Moreবিশেষ্য, না-কি বিশেষণ?
ব্যাকরণের একটি ক্ষেত্রে প্রায়শই আমরা দ্বিধায় পড়ে যাই। সেটি হচ্ছে- বিশেষ্য ও বিশেষণ পদ চিহ্নিত করা।এর একটি অন্যতম কারণ হচ্ছে, কোনো একটি পদকে চিরদিন ‘বিশেষ্য’ বা চিরদিন ‘বিশেষণ’ বলার সুযোগ নেই। অর্থাৎ একই পদ কখনো বিশেষ্য, আবার কখনো বিশেষণরূপে ব্যবহৃত হতে পারে। তাহলে আমরা কীভাবে এটি আলাদাভাবে চিহ্নিত করবো? সেটিই শিখবো এখানে। আমরা নিশ্চয় জানি …
Read Moreউপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।
কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নিজস্ব অর্থ থাকাকে তার অর্থবাচকতা বলে। যেমন: ‘দেশ’ একটি শব্দ, যার নিজস্ব অর্থ (নির্দিষ্ট ভূখন্ড) রয়েছে; অর্থাৎ এর অর্থবাচকতা আছে। কিন্তু ‘প্র’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; অর্থাৎ অর্থবাচকতা নেই। কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতাকে তার অর্থদ্যোতকতা বলে। যেমন: ‘হার’ একটি শব্দ, যার অর্থ ‘পরাজয়’। …
Read Moreউপমান বনাম উপমিত
উপমান ও উপমিত কর্মধারয় সমাস নিয়ে প্রায়শই দ্বিধাদ্বন্দ্বের সৃষ্টি হয়। একটিমাত্র বাক্যে আমরা আজ এ সংশয় দূর করে নেবো। আমরা নিশ্চয় জানি- একাধিক ব্যক্তি বা বস্তুর মধ্যে তুলনা বোঝালে সাধারণভাবে সেটা উপমান বা উপমিত কর্মধারয় সমাস হয়। কীভাবে চিনবো?বিশেষণ (দোষ, গুণ, অবস্থা ইত্যাদি যে-কোনো বৈশিষ্ট্য) উল্লেখ থাকলে উপমান কর্মধারয় সমাস হবে; বিশেষণ উল্লেখ না থাকলে …
Read More