শব্দের কোথাও জ্ঞ/ক্ষ/য-ফলা/ঋ-কার থাকলে

শব্দের মধ্যে বা শেষে জ্ঞ/ক্ষ/য-ফলা/ঋ-কার থাকলে তার আগের বর্ণের অ-কারটি ও-কাররূপে উচ্চারিত হবে।
যেমন: লক্ষ। এখানে ‘ক্ষ’-এর আগের বর্ণ ‘ল’-এর সাথে একটি ‘অ’ (ল = ল্ + অ) রয়েছে। ‘ক্ষ’-এর কারণে উক্ত ‘অ’-টি ও-কাররূপে উচ্চারিত হবে। তাই এখানে ‘ল’-টির উচ্চারণ ও-
কারযোগে ‘লো’-এর মতো হবে। সুতরাং এর উচ্চারণ হবে ‘লোক্ খো’ (‘লক্ খো’ নয়)।

আরও উদাহরণ:
অক্ষর (ওক্ খোর্), সত্য (শোত্ তো), পক্ষ (পোক্ খো), কক্ষ (কোক্ খো), জন্য (জোন্
নো), সদ্য (শোদ্ দো), যজ্ঞ (জোগ্ গোঁ), যক্ষ (জোক্ খো), দক্ষ (দোক্ খো), বক্ষ (বোক্
খো)।