‘বিপদ’ শব্দটির একটি মজার ব্যাপার হচ্ছে, সন্ধির নিয়মে কোনো শব্দের পূর্বে যুক্ত হলে সেটা বেশিরভাগ সময়ই আর ‘বিপদ’ থাকে না। কীভাবে ঘটে? চলুন দেখি।

লক্ষণীয় ১: সন্ধির নিয়মে ‘বিপদ্’ শব্দটির পরে ‘জ’ যুক্ত হলে ‘বিপজ্’ হবে।
উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:
বিপদ্ + জনক = বিপজ্জনক। যেহেতু এখানে ‘বিপদ্’-এর পরে ‘জ’ বর্ণ দ্বারা গঠিত (জনক) শব্দ যুক্ত হয়েছে, তাই ‘বিপদ্’ হয়ে গেছে ‘বিপজ্’ (বিপজ্ + জনক)।

লক্ষণীয় ২: ‘বিপদ্’ শব্দটির পরে ক/খ, চ/ছ, ট/ঠ, ত/থ, প/ফ ও স দ্বারা গঠিত কোনো শব্দ যুক্ত হলে সেটি ‘বিপৎ’ হয়ে যাবে।
উদাহরণ:
বিপদ্ + কাল = বিপৎকাল।
বিপদ্ + চিহ্ন = বিপৎচিহ্ন।
বিপদ্ + সংকুল = বিপৎসংকুল।
বিপদ্ + সংকেত = বিপৎসংকেত।
বিপদ্ + সীমা = বিপৎসীমা।
এ-রকম: বিপৎকালীন, বিপৎপাত, বিপত্তারণ, বিপত্তারিণী।

লক্ষণীয় ৩: ওপরের দুটি সময় ব্যতীত অন্যান্য ক্ষেত্রে ‘বিপদ’ শব্দটি অবিকৃত থাকবে।
যেমন: বিপদগর্ভ, বিপদগ্রস্ত, বিপদবহুল, বিপদভঞ্জন, বিপদাত্মক, বিপদাপদ, বিপদাপন্ন, বিপদুদ্ধার, বিপদ্দশা।

দুটি ভিন্ন উদাহরণ: বিপন্মুক্ত (বিপদ্ + উন্মুক্ত), বিপন্মুক্তি (বিপদ্ + উন্মুক্তি)।