চাষার দুক্ষু-শব্দ ধরে পড়ি

১। ‘চাষার দুক্ষু’ রচনাটিতে কোথায় পুড়ে মরার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: ক্ষেতে ক্ষেতে
২। বৌ-এর কী বিকায়?
উত্তর: পৈছা
৩। বৌ-এর পৈছা বিকালেও সন্তানের কী জোটে না?
উত্তর: দানা (‘খাদ্য’ অর্থে)
[নোট: ছোলা, মটর, কলাই- এইসব শস্যকেও ‘দানা’ বলা হয়।]
৪। ‘চাষার দুক্ষু’ অনুযায়ী দেড় শত বছর পূর্বে ভারতবাসী কেমন ছিল?
উত্তর: অসভ্য বর্বর
৫। এই দেড় শত বছর ধরে আমরা ক্রমশ কী হচ্ছি?
উত্তর: সভ্য থেকে সভ্যতর
৬। কোন কোন ক্ষেত্রে আমরা অন্যান্য দেশ ও জাতির সমকক্ষ হতে চলেছি?
উত্তর: শিক্ষায় ও সম্পদে
৭। আমাদের কী রাখার স্থান নেই?
উত্তর: সভ্যতা ও ঐশ্বর্য
৮। রচনাটিতে লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে কী ধরনের বাড়ির কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: অভ্রভেদী পাঁচতলা পাকা বাড়ি
৯। লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে কোন কোন যেগাযোগমাধ্যমের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: রেলওয়ে, ট্রামওয়ে, স্টিমার, এরোপ্লেন, মোটর লরি, টেলিফোন, টেলিগ্রাফ, পোস্টাফিস, চিঠিপত্র
১০। লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে কী ধরনের কলকারখানার কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: পাটকল, চটকল
১১। লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে কী ধরনের ঘড়ির কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: অট্টালিকার চূড়ায় বড়ো বড়ো ঘড়ি
১২। রচনাটিতে লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে চিকিৎসা-ব্যবস্থার কোন কোন উপাদানের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: ঔষধ, অপারেশন, ইনজেকশন, ব্যবস্থা-পত্র
১৩। ‘চাষার দুক্ষু’ অনুসারে সামান্য অসুখ হলে আট-দশ জন ডাক্তারে কী করেন?
উত্তর: নাড়ি টেপেন
১৪। লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে বিনোদনের কোন কোন মাধ্যমের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: থিয়েটার, বায়স্কোপ, ঘোড়দৌড়
১৫। লেখক সভ্যতার নিদর্শন হিসাবে কোন কোন ইলেকট্রনিক আবিষ্কারের কথা উল্লেখ
করেছেন?
উত্তর: বরফের গাড়ি, ইলেকট্রিক লাইট, ফ্যান
১৬। কীসের গড়াগড়ির কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: অনারেবলের
১৭। শহুরে যান্ত্রিক উন্নয়নকে যারা সভ্যতার নিদর্শন বলে মনে করেন না, তাদের লেখক কী বলে আখ্যা দিয়েছেন?
উত্তর: ডাহা নিমকহারাম
১৮। ‘গোটা ভারতবর্ষ নহে’ বলতে গিয়ে লেখক কোন শহরের নাম উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: কলকাতা (মূল রচনায়: কলিকাতা)
১৯। ‘সমস্ত ভারতের অধিবাসী নহে’ বলতে গিয়ে লেখক কাদের কথা উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: মুষ্টিমেয়, সৌভাগ্যশালী ধনাঢ্য ব্যক্তির কথা
২০। সমাজের মেরুদণ্ড কে?
উত্তর: চাষা
২১। লেখক এ রচনায় কোন প্রবচনটি উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: ধান ভানিতে শিবের গান, শিরে দিয়ে বাঁকা তাজ ঢেকে রাখে টাক
২২। ‘ধান ভানিতে শিবের গান’ কোন প্রসঙ্গে বলা হয়েছে?
উত্তর: চাষার দারিদ্র্যের কথা বলতে গিয়ে সভ্যতার নিদর্শনের উল্লেখ করা প্রসঙ্গে
২৩। রচনার শুরুতেই চাষার দুঃখের কথা বললে কী ঘটতো?
উত্তর: মানুষ চোখে আঙুল দিয়ে যান্ত্রিক উন্নতির দিকে দিক-নির্দেশ করতো
২৪। লেখক ভালোর দিকটা আগে দেখালেন কেন?
উত্তর: ভালোটা বাদ দিয়ে কেবল মন্দটা কেন দেখছেন- এ কথা কেউ যেন বলতে না পারেন, সে কারণে
২৫। জুটমিলের কর্মচারীগণ কত টাকা বেতন পান বলে এখানে উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: মাসিক ৫০০-৭০০ টাকা
২৬। জুটমিলের কর্মচারীরা কেমন হালে থাকে এবং কেমন চাল চালে?
উত্তর: নবাবি হাল, নবাবি চাল
২৭। যারা জুট উৎপাদন করেন, তাদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে লেখক কোন কথার অবতারণা করেছেন?
উত্তর: পাছায় জোটে না ত্যানা
২৮। সমগ্র ভারতের বিষয় ছেড়ে লেখক কোন অঞ্চলের আলোচনা করতে চেয়েছেন?
উত্তর: বঙ্গদেশের
২৯। আমাদের বঙ্গভূমি কেমন?
উত্তর: সুজলা, সুফলা, শস্য-শ্যামলা
৩০। আমাদের বঙ্গভূমিতে চাষার কী নেই?
উত্তর: চাষার উদরে (পেটে) ভাত নেই
৩১। ‘ধান্য তার বসুন্ধরা যার’- কে বলেছেন?
উত্তর: রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর
৩২। রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরকে লেখক কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করেছেন?
উত্তর: শ্রদ্ধাস্পদ
৩৩। অভাগা চাষার অবস্থা বোঝাতে তাদের কোন কোন কাজের উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ক্ষেতে ক্ষেতে পুড়ে মরবে, হাল বহন করবে, পাট উৎপাদন করবে
৩৪। একসময় চাষার ঘরে কী কী ছিল?
উত্তর: মোরাই-ভরা ধান, গোয়াল-ভরা গোরু, উঠান ভরা মুরগি
৩৫। ‘এখন আমরা সভ্য হইয়াছি’- কোন অর্থে কথাটি বলা হয়েছে?
উত্তর: ব্যঙ্গার্থে
৩৬। সভ্যতার পক্ষাবলম্বন করতে গিয়ে চাষার দুর্দশার জন্য অনেকে কোনটিকে দায়ী করে থাকেন?
উত্তর: ইউরোপের মহাযুদ্ধ
৩৭। ইউরোপের মহাযুদ্ধ পৃথিবীর কী অবস্থা করেছে?
উত্তর: সর্বস্বান্ত করেছে
৩৮। ‘চাষার দুক্ষু’ অনুসারে ইউরোপের মহাযুদ্ধ কত বছরের ঘটনা?
উত্তর: সাত বছর
৩৯। লেখকের বাল্যকালে টাকায় কত সের সরিষার তেল পাওয়া যেত?
উত্তর: ৮ সের
৪০। সে সময় টাকায় ৪ সের কী পাওয়া যেত?
উত্তর: ঘৃত (ঘি)
৪১। গল্পের কৃষককন্যার নাম কী?
উত্তর: জমিরন
৪২। জমিরনের মাথার চুল কেমন ছিল?
উত্তর: ঘন ও লম্বা
৪৩। জমিরনের মাথায় কতটুকু তেল লাগতো?
উত্তর: আধা পোয়ার মতো
৪৪। জমিরনের মাথা ঘষার দিন তাকে কোথায় নিয়ে যাওয়া হতো?
উত্তর: রাজবাড়ি
৪৫। তখন এক সের তেলের দাম কত ছিল?
উত্তর: দুই গণ্ডা পয়সা (দুই আনা)
৪৬। ‘চাষার দুক্ষু’ অনুসারে বিহার অঞ্চলের কত বছর পূর্বের ঘটনা উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: ৩০/৩৫ বছর
৪৭। বিহার অঞ্চলে কীসের বিনিময়ে কৃষকপত্মী কন্যা বিক্রয় করতো?
উত্তর: দুই সের খেসারির বিনিময়ে
৪৮। রচনাটিতে উড়িষ্যার অন্তর্গত কোন রাজ্যের কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: কণিকা রাজ্য
৪৯। ‘চাষার দুক্ষু’ রচনায় কণিকা রাজ্যের কত বছর আগের চিত্র তুলে ধরা হয়েছে?
উত্তর: ২৫ বছর
৫০। কণিকা রাজ্যে কৃষকেরা কী খেত?
উত্তর: পখাল (পান্তা) ভাত
৫১। তারা পখাল (পান্তা) ভাতের সাথে সর্বোচ্চ কী জুটাতে পারতো?
উত্তর: লবণ
৫২। কণিকা রাজ্যের কৃষকদের কাছে পরম উপাদেয় ব্যঞ্জন কী ছিল?
উত্তর: শুঁটকি মাছ
৫৩। সে সময় কণিকা রাজ্যে টাকায় কত সের চাউল পাওয়া যেত?
উত্তর: ২৫/২৬ সের
৫৪। এ রচনায় সমুদ্র-তীরবর্তী কোন গ্রামের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর: সাত ভায়া
৫৫। সাত ভায়া নামক গ্রামের লোকেরা পখাল (পান্তা) ভাতের সাথে কী জুটাতে পারতো না?
উত্তর: লবণ
৫৬। তারা কোথায় চাউল ধুয়ে ভাত রেঁধে খেত?
উত্তর: সমুদ্র-জলে
৫৭। ‘চাষার দুক্ষু’ রচনাটিতে কোন কোন জেলার কথা বলা হয়েছে?
উত্তর: রংপুর, আসাম
৫৮। রংপুর জেলার কৃষকেরা ভাত না পেয়ে কী সিদ্ধ করে খেত?
উত্তর: লাউ, কুমড়া, পাট শাক, লাউ শাক ইত্যাদি
৫৯। সেখানকার স্ত্রীলোকেরা কত হাত পরিমাণ কাপড় পরতো?
উত্তর: ৮/৯ হাত
৬০। সে সময় রংপুর জেলায় পুরুষেরা কী পরিধান করতো?
উত্তর: কৌপীন
[নোট: কৌপীন: ল্যাঙট, চীরবসন, লজ্জা নিবারণের জন্য পরিধেয় সামান্য বস্তু।]
৬১। তারা শীতকালে দিনের বেলায় কী করতো?
উত্তর: মাঠে রৌদ্র যাপন করতো
৬২। রাতে শীত অসহনীয় হয়ে উঠলে কী জ্বালিয়ে আগুন পোহাতো?
উত্তর: পাটখড়ি
৬৩। তারা কী ধরনের শয্যায় শয়ন করতো?
উত্তর: বিচালি (বা পোয়াল খড়) শয্যায়
৬৪। এই রংপুর কীসের জন্য প্রসিদ্ধ ছিল?
উত্তর: ধান ও পাটের জন্য
৬৫। ইউরোপীয় মহাযুদ্ধের সঙ্গে চাষার দারিদ্র্যের সম্পর্ক কেমন?
উত্তর: অতি অল্প
৬৬। ‘চাষার দুক্ষু’ অনুসারে এখন টাকায় কত সের চাউল পাওয়া যায়?
উত্তর: ৩/৪ সের
৬৭। ‘মহী’ অর্থ কী?
উত্তর: পৃথিবী
৬৮। এ রচনায় পৃথিবীকে কোন বিশেষণ প্রদান করা হয়েছে?
উত্তর: কঠোর
৬৯। রচনাটি অনুসারে এ পৃথিবীতে চাষার আগমন কেন?
উত্তর: দুঃখ-কষ্ট সহ্য করতে, হৃদয়ের কষ্ট হৃদয়ে লুকিয়ে পেটের (ক্ষুধার) জ্বালায় দগ্ধ হতে
৭০। এ রচনা অনুসারে মরাই-ভরা ধান, গোয়াল-ভরা গোরু, ঢাকা-মসলিন কাপড় কত বছর আগের অবস্থা?
উত্তর: অন্তত শতাধিক বছর আগের অবস্থা
৭১। কৃষক-রমণী স্বহস্তে কী প্রস্তুত করতো?
উত্তর: কাপড়
[নোট: বাড়িসুদ্ধ সকলের জন্য।]
৭২। কৃষক-রমণী কীভাবে কাপড় প্রস্তুত করতো?
উত্তর: স্বহস্তে চরকায় সুতা কেটে
৭৩। কোন কোন জেলায় রেশম হয় বলে এ রচনায় উল্লেখ আছে?
উত্তর: আসাম ও রংপুর জেলায়
৭৪। আসাম ও রংপুরের রেশমকে স্থানীয় ভাষায় কী বলে?
উত্তর: এন্ডি
৭৫। এন্ডি রেশমের গুটি থেকে কী কাটা হয়?
উত্তর: সুতা
৭৬। এন্ডি রেশম প্রতিপালন ও তার গুটি থেকে সুতা কাটা কেমন কাজ?
উত্তর: সহজসাধ্য কাজ
৭৭। কোন শিল্প তদ্দেশবাসিনী রমণীদের একচেটিয়া ছিল?
উত্তর: এন্ডি রেশম প্রতিপালন ও তার গুটি থেকে সুতা কাটা
৭৮। রমণীগণ একে অন্যের বাড়িতে বেড়াতে যাওয়ার সময় কী হাতে নিয়ে যেত?
উত্তর: টেকো
[নোট: সুতা কাটতে কাটতে।]
৭৯। টেকো কী?
উত্তর: সুতা পাকানোর যন্ত্র
৮০। এন্ডি কাপড় কেমন?
উত্তর: বেশ গরম ও দীর্ঘকাল স্থায়ী
৮১। এন্ডি কাপড় কী হতে কোনো অংশে ন্যূন নয়?
উত্তর: ফ্লানেল হতে
৮২। এন্ডি কাপড় ফ্লানেল অপেক্ষা ………..।
উত্তর: দীর্ঘস্থায়ী
৮৩। একখানি এন্ডি কাপড় অবাধে কত বছর টেকে?
উত্তর: ৪০ বছর
৮৪। ৪/৫টি এন্ডি চাদর থাকলে কীসের প্রয়োজন হয় না?
উত্তর: লেপ, কম্বল, কাঁথা- কিছুই প্রয়োজন হয় না
৮৫। সেকালে রমণীগণ কোন সমস্যা হেসেখেলে সমাধান করতো?
উত্তর: বস্ত্র-সমস্যা
৮৬। তখন চাষা কীসের কাঙাল ছিল না?
উত্তর: অন্নবস্ত্রের
৮৭। ‘কিন্তু সে তো অসভ্য বর্বর ছিল’- কে?
উত্তর: ভারতবাসী কৃষক
৮৮। ‘কিন্তু সে তো অসভ্য বর্বর ছিল’- এ উক্তির মধ্য দিয়ে কী প্রকাশিত হয়েছে?
উত্তর: ব্যঙ্গ
৮৯। ‘এখন তাহারা সভ্য হইয়াছে’- ব্যঙ্গার্থে এ কথাটির অর্থ প্রকাশে লেখক কোন প্রবচন উল্লেখ করেছেন?
উত্তর: শিরে দিয়ে বাঁকা তাজ ঢেকে রাখে টাক
৯০। আপাত সুলভ মূল্যে কী পাওয়া যায়?
উত্তর: বিবিধ রঙিন ও মিহি কাপড়
৯১। আপাত সুলভ মূল্যে বিবিধ রঙিন ও মিহি কাপড় পাওয়া যায় বিধায় রমণীরা কোন কাজটি করে না?
উত্তর: চরকা নিয়ে ঘর্ঘর করে না
৯২। বর্ণহীন এন্ডি বস্ত্র ব্যবহার কমে যাওয়ার কারণ কী?
উত্তর: বিচিত্র বর্ণের জুট ফ্লানেলের প্রতি আকর্ষণ
৯৩। পূর্বে পল্লিবাসিনীগণ কী প্রস্তুত করে কাপড় কাচতো?
উত্তর: ক্ষার প্রস্তুত করে
৯৪। এখন তাদের কাপড় ধোয়ার জন্য কী প্রয়োজন হয়?
উত্তর: ধোপা অথবা সোডা
৯৫। এখন আর পল্লিবাসিনীরা ক্ষার প্রস্তুত করতে চায় না কেন?
উত্তর: চার পয়সার সোডাতেই সে কাজ সিদ্ধ হয় বলে
৯৬। কীসের বিষ পল্লিবাসিনীদের জর্জরিত করে ফেলেছে?
উত্তর: বিলাসিতার বিষ
৯৭। বিলাসিতা কোথায় প্রবেশ করেছে?
উত্তর: শিরায় শিরায়, ধমনীতে ধমনীতে
৯৮। এ রচনায় কীসের চুড়ির কথা উল্লেখ আছে?
উত্তর: বেলোয়ারের চুড়ি
[নোট: বেলোয়ারের চুড়ি: উৎকৃষ্ট স্বচ্ছ কাচে প্রস্তুত চুড়ি।]
৯৯। কারা ট্রাম না হলে দুই পা নড়তে পারে না?
উত্তর: মুটে-মজুর
১০০। দুই পয়সা-চার পয়সা করে ধীরে ধীরে তারা কোন অবস্থায় পর্যবসিত হচ্ছে?
উত্তর: সর্বস্বহারা অবস্থায়
১০১। নিজ অন্ন পর কর পণ্যে দিলে, পরিবর্ত ধনে ……….. নিলে!
উত্তর: দুরভিক্ষ
১০২। সভ্যতাকে লেখক কীসের সঙ্গে তুলনা করেছেন?
উত্তর: বিলাসিতার সঙ্গে
১০৩। বিলাসিতার পাশাপাশি আর কোন নেতিবাচক প্রবণতার কথা এ রচনায় উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: অনুকরণপ্রিয়তা
১০৪। আর্থিক অবস্থা সামান্য একটু স্বচ্ছল হলেই তারা কাদের অনুকরণ করে থাকে?
উত্তর: প্রতিবেশী বড়োলোকদের
১০৫। আর্থিক অবস্থা সামান্য একটু স্বচ্ছল হলেই চাষার বৌ-ঝির কী চাই?
উত্তর: যাতায়াতের জন্য সওয়ারি, ধান ভানার জন্য ভারানি
১০৬। ‘বহ্নি’ অর্থ কী?
উত্তর: আগুন
১০৭। ‘শিবিকাবাহক’ অর্থ কী?
উত্তর: যারা শিবিকা বহন করে
[নোট: শিবিকা: মানুষবাহিত কাঠের তৈরি যান, পালকি।]
১০৮। শিবিকাবাহকগণ কী করলে সভ্যতার চূড়ান্ত হবে?
উত্তর: পালকি নিয়ে ট্রামে যাতায়াত করলে
১০৯। আমরা এন্ডি কাপড় পরিত্যাগ করেছি কেন?
উত্তর: সুসভ্য হয়েছি বলে
১১০। এন্ডি কাপড় নতুনভাবে কী নামে অভিহিত হয়েছে?
উত্তর: আসাম সিল্ক
১১১। এন্ডি কাপড় এখন কোর্ট, প্যান্ট ও স্কার্ট রূপে কাদের শরীরে শোভা পাচ্ছে?
উত্তর: ইউরোপীয় নর-নারীদের শরীরে
১১২। পল্লিবাসিনীরা আর এন্ডি পোকা প্রতিপালন করে না কেন?
উত্তর: তাদের সভ্যতার মাত্রাধিক্য হওয়ায়
১১৩। এখন আর কোথায় ‘আসাম সিল্ক’ পাওয়া যায় না?
উত্তর: ‘হোয়াইট এ্যাওয়ে লেডল’-এর দোকানে
১১৪। আসাম থেকে এন্ডি গুটি কোথায় চালান যায়?
উত্তর: বিদেশে
১১৫। এন্ডি গুটি কী রূপে বিদেশ থেকে আবার আসামে ফিরে আসে?
উত্তর: সূত্ররূপে (সুতা হয়ে)
১১৬। ‘চাষার দুক্ষু’ রচনায় বঙ্গের কোন গভর্নরের নাম উল্লেখ আছে?
উত্তর: লর্ড কারমাইকেল
১১৭। লর্ড কারমাইকেল কীসের জন্মস্থান অনুসন্ধান করছিলেন?
উত্তর: একটি দেশি রেশমি রুমালের
১১৮। কে সহজে ছাড়বার পাত্র নন?
উত্তর: লর্ড কারমাইকেল
১১৯। এ রচনায় লর্ড কারমাইকেলকে কোন বিশেষণে বিশেষায়িত করা হয়েছে?
উত্তর: ইংরাজ বাচ্চা
১২০। পূর্বে কোথায় রেশমি রুমাল প্রস্তুত হতো?
উত্তর: মুর্শিদাবাদের কোনো গ্রামে
১২১। এখন আর রেশমি রুমাল প্রস্তুত হয় না কেন?
উত্তর: সে গ্রামের লোকেরা সুসভ্য হয়েছে বলে
১২২। কীসের বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে দেশি শিল্পসমূহ ক্রমশ বিলুপ্ত হচ্ছে?
উত্তর: সভ্যতা বিস্তারের সঙ্গে সঙ্গে
১২৩। ‘চাষার দুক্ষু’ রচনা অনুসারে সম্প্রতি পল্লিগ্রামের দুর্গতির দিকে কাদের দৃষ্টি পড়েছে?
উত্তর: দেশবন্ধু নেতৃবৃন্দের
১২৪। চাষার পূর্বের স্বচ্ছলতা ফিরিয়ে আনতে কোনটি প্রয়োজন?
উত্তর: নারী-শিল্পসমূহের পুনরুদ্ধার প্রয়োজন
১২৫। জেলায় জেলায় কীসের চাষ কমাতে হবে?
উত্তর: পাটের চাষ
১২৬। কীসের চাষ প্রচুর পরিমাণে হওয়া চাই?
উত্তর: কার্পাসের চাষ
১২৭। কীসের প্রচলন বহুল পরিমাণে হওয়া প্রয়োজন?
উত্তর: চরকা ও এন্ডি সুতা
১২৮। আসাম ও রংপুরের নারীরা কী করলে সমগ্র বঙ্গদেশের বস্ত্রের সমস্যা সমাধান হবে?
উত্তর: এন্ডি পোকা প্রতিপালনে তৎপর হলে
১২৯। পল্লিগ্রামে কী বিস্তারের চেষ্টা হওয়া প্রয়োজন?
উত্তর: সুশিক্ষা
১৩০। চাষার দারিদ্র্য ঘুচাতে কী প্রয়োজন?
উত্তর: গ্রামে গ্রামে পাঠশালা এবং ঘরে ঘরে চরকা ও টেকো প্রয়োজন