ঙ্গ বনাম ঙ

কোথায় ‘ঙ্গ’ ব্যবহার করতে হবে, আর কোথায় ‘ঙ’ ব্যবহৃত হবে- এটি একটি বহুল জিজ্ঞাসিত সমস্যা। এ সমস্যাটির সমাধানে দুটো বিষয় মাথায় রাখতে হবে। চলুন, শিখি।

১. প্রত্যয়যোগে তৈরি হওয়া শব্দে অনেক সময়ই ‘ঙ’ ব্যবহৃত হয়।
উদাহরণ ও ব্যাখ্যা: ভাঙা = √ভন্জ্ + আ। এখানে ‘ভাঙা’ শব্দটি ‘আ’ প্রত্যয়যোগে তৈরি হয়েছে বলে এর বানানে ‘ঙ্গ’ না হয়ে ‘ঙ’ হয়েছে।

আরও উদাহরণ: রঙিন (√রন্জ্ + ইন্), বাঙালি (বঙ্গ +আল + ই)।

২. সাধু ভাষায় ‘ঙ্গ’ (ঙ্ + গ)-যুক্ত কিছু শব্দ রয়েছে, যেগুলো উচ্চারণের সময় ‘গ’ ধ্বনিটির উচ্চারণ তেমন ফুটে ওঠে না বা সুস্পষ্টভাবে বোঝা যায় না। সে-সব শব্দের চলিত রীতির বানানে ‘ঙ্গ’ না লিখে ‘ঙ’ লেখা হয়।

উদাহরণ: আঙ্গুল > আঙুল, আঙ্গুর > আঙুর, কাঙ্গাল > কাঙাল।

আরও উদাহরণ: আঙিনা, গোঙানি, ঘুঙুর, ঘেঙানি, চাঙ, চাঙা, চাঙারি, চোঙা, জাঙাল, ঝিঙে, টাঙা, টাঙানো, টাঙি, টুঙি, ঠোঙা, ঠ্যাঙানো, ঠ্যাঙাড়ে, ডাঙা, ডিঙা, ডিঙানো, ডিঙি, ডোঙা, ঢ্যাঙা, ফিঙে, ভাঙ, ভাঙন, ভাঙা, ভাঙানো, ভেঙানি, ভ্যাঙানো, মাছরাঙা, রঙিন, রাঙা, রাঙামাটি, লাঙল, শিঙা, হাঙর, হিঙ ইত্যাদি।