কোন কোন বর্ণ থাকলে ‘ণ’ হবে?

শুরুতেই মনে রাখতে হবে- ‘ণ’ কেবল তৎসম শব্দের বানানে ব্যবহৃত হয়।

যে-সব বর্ণের পরে ‘ণ’ হবে:
ঋ, র, ষ, ক্ষ, ঋ-কার (ৃ), র-ফলা, রেফ-এর পরে ‘ণ’ হবে।
যেমন: ঋণ, রণ, কারণ, ব্যাকরণ, বরণ, মরণ, ভাষণ, ভীষণ, বর্ষণ, ক্ষণ, তৃণ, প্রণয়, কর্ণ, বর্ণ, বর্ণনা।

যে-সব বর্ণের পূর্বে ‘ণ’ যুক্ত হবে:
ট, ঠ, ড, ঢ-এর পূর্বে যুক্ত হলে ‘ণ’ হবে।
যেমন: ঘণ্টা, লুণ্ঠন, কাণ্ড, প্রচণ্ড, ঢেণ্ঢণ (চর্যাপদের কবি ‘ঢেণ্ঢণ পা)।

দ্রষ্টব্য: তৎসম শব্দ না হলে ট, ঠ, ড, ঢ-এর পূর্বে ‘ন’ যুক্ত হবে। যেমন: গুন্ডা (দেশি), ঝান্ডা (হিন্দি), লন্ঠন (ইংরেজি)।