‘কখনও, না-কি কখনো’?

অধিক পরিমাণ, পর্যন্ত, এমনকি ইত্যাদি বোঝাতে বা শব্দে জোর প্রয়োগ করতে ‘ও’-কে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে; ও-কার হিসেবে লেখা যাবে না।

উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:
১. আরও শিখতে হবে।
এ বাক্যে ‘ও’-টা ‘অধিক পরিমাণ’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সে কারণে এখানে বর্ণটিকে ‘আর’-এর সঙ্গে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে। কার-চিহ্ন আকারে (আরো) লেখা যাবে না।
২. আজও সে আসেনি।
এ বাক্যে ‘ও’-টা ‘পর্যন্ত’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে। সে কারণে এখানে বর্ণটিকে ‘আজ’-এর সঙ্গে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে। কার-চিহ্ন আকারে (আজো) লেখা যাবে না।
৩. তুমিও ছিলে না।
এ বাক্যে ‘ও’-টা ‘এমনকি’ অর্থে ব্যবহৃত হয়েছে (এমনকি তুমিও ছিলে না- এ-রকম)। সে কারণে এখানে বর্ণটিকে ‘তুমি’-এর সঙ্গে পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে লিখতে হবে। ‘তুমি-ও’ বা ‘তুমিয়ো’ লেখা যাবে না।
৪. কথা দাও- কখনও ছেড়ে যাবে না!
এ বাক্যে শব্দে জোর প্রয়োগ করা হচ্ছে। সে কারণে ‘ও’-কে কার-চিহ্ন আকারে (কখনো) লেখা যাবে না। পূর্ণবর্ণ আকারে যুক্ত করে ‘কখনও’ লিখতে হবে।

আরও উদাহরণ:
কোনও মানুষই খারাপ নয়।
আরও কাজ করতে হবে।
এখনও বোঝোনি?

অধিক পরিমাণ, পর্যন্ত, এমনকি না বোঝালে বা শব্দে জোর প্রয়োগ না করলে ‘ও’-কে কার-চিহ্ন আকারে লিখতে হবে।
যেমন: সে কখনো বলে ভালোবাসে, কখনো আবার মুখ ফিরিয়ে চলে যায়।

দ্রষ্টব্য: একই শব্দ দু-বার ব্যবহারের ক্ষেত্রে সাধারণত ‘ও’-কে কার-চিহ্ন আকারে লিখতে হয়। যেমন: কখনো কখনো আমিও গিয়েছি সেখানে। (‘কখনও কখনও’ নয়)