উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।

কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নিজস্ব অর্থ থাকাকে তার অর্থবাচকতা বলে। যেমন: ‘দেশ’ একটি শব্দ, যার নিজস্ব অর্থ (নির্দিষ্ট ভূখন্ড) রয়েছে; অর্থাৎ এর অর্থবাচকতা আছে। কিন্তু ‘প্র’ একটি উপসর্গ, যার নিজস্ব কোনো অর্থ নেই; অর্থাৎ অর্থবাচকতা নেই।

কোনো শব্দ বা শব্দাংশের নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতাকে তার অর্থদ্যোতকতা বলে। যেমন: ‘হার’ একটি শব্দ, যার অর্থ ‘পরাজয়’। এর পূর্বে ‘প্র’ উপসর্গটি যুক্ত হলে নতুন অর্থবোধক শব্দ ‘প্রহার’ (আঘাত) সৃষ্টি হয়। অর্থাৎ ‘প্র’ উপসর্গটির নতুন অর্থবোধক শব্দ সৃষ্টির ক্ষমতা রয়েছে। সুতরাং এর অর্থদ্যোতকতা আছে।

এ কারণেই বলা হয়- উপসর্গের অর্থবাচকতা নেই, কিন্তু অর্থদ্যোতকতা আছে।