জন্ম-পরিচয়:
জন্ম: ২৬ জুন ১৮৩৮ খ্রি. (বাংলা ১৩ আষাঢ় ১২৪৫)
জন্মস্থান: কাঁঠালপাড়া, চব্বিশ পরগনা, পশ্চিমবঙ্গ।
পিতৃ-পরিচয়:
পিতার নাম: যাদবচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় (ডেপুটি কালেক্টর)
শিক্ষাজীবন:
এন্ট্রান্স (১৮৫৭): কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
বি.এ. (১৮৫৮): কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়।
বি.এল. (১৮৫৮): প্রেসিডেন্সি কলেজ।
কর্মজীবন:
পেশা-পদবি: ম্যাজিস্ট্রেট।
কর্মস্থল: যশোর, খুলনা, মুর্শিদাবাদ, হুগলি, মেদিনীপুর, বারাসাত, হাওড়া, আলীপুর প্রভৃতি। চাকরিসূত্রে খুলনার ম্যাজিস্ট্রেট হিসেবে যোগদান করে তিনি নীলকরদের অত্যাচার দমন করেছিলেন।
পরিচিতি:
১. বাংলা ভাষায় প্রথম শিল্পসম্মত উপন্যাস রচনার কৃতিত্ব তাঁরই।
২. বাংলা সাহিত্যের প্রথম সার্থক ঔপন্যাসিক।
৩. আধুনিক বাংলা সাহিত্যের প্রথম প্রধান সৃষ্টিশীল লেখকদের একজন।
৪. কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রথম স্নাতক (১৮৫৮)।
সাহিত্যকর্ম:
উপন্যাস (মোট ১৪টি): দুর্গেশনন্দিনী (প্রথম ১৮৬৫), কপালকুণ্ডলা (১৮৬৬), মৃণালিনী (১৮৬৯), বিষবৃক্ষ (১৮৭৩), কৃষ্ণকান্তের উইল (১৮৭৮), রজনী, প্রভৃতি।
ত্রয়ী উপন্যাস: আনন্দমঠ, দেবী চৌধুরাণী, সীতারাম।
অন্যান্য উপন্যাস: চন্দ্রশেখর, রাজসিংহ, ইন্দিরা, যগলাঙ্গুরীয়, রাধারাণী।
প্রবন্ধ: লোকরহস্য (১৮৭৮), বিজ্ঞানরহস্য (১৮৭৫), কমলাকান্তের দপ্তর (১৮৭৫), সাম্য (১৮৭৯), কৃষ্ণচরিত্র, ধর্মতত্ত্ব অনুশীলন, শ্রীমদ্ভগবদগীতা প্রভৃতি।
‘বঙ্গদর্শন’ (১৮৭২) পত্রিকা সম্পাদনা ও প্রকাশ তাঁর অন্যতম কীর্তি। ১৮৫২ খ্রিস্টাব্দে ‘সংবাদ প্রভাকর’ পত্রিকায় কবিতা প্রকাশের মাধ্যমে তাঁর সাহিত্যচর্চার শুরু।
বঙ্কিমচন্দ্রের গ্রন্থসংখ্যা ৩৪।
খেতাব ও সম্মাননা:
‘সাহিত্য সম্রাট’- সাহিত্যের রসবোদ্ধাদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খেতাব।
‘ঋষি’- হিন্দু ধর্মানুরাগীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত খেতাব।
বাংলার ‘ওয়াল্টার স্কট’।
সাহিত্য স্বীকৃতি:
১. বাংলা উপন্যাসের জনক
২. যুগন্ধর সাহিত্যস্রষ্টা
মৃত্যু: কলকাতা, ৮ এপ্রিল ১৮৯৪ খ্রি. (২৬ চৈত্র ১৩০০ বঙ্গাব্দ)।