সুপ্রিয় শিক্ষার্থীরা,
তোমরা নিশ্চয় ইতোমধ্যেই বুঝতে পেরেছো যে, এইচএসসির বাংলা প্রথম পত্র নবম-দশম শ্রেণির তুলনায় কিছুটা জটিল, দুর্বোধ্য ও কঠিন। তাছাড়া, এইচএসসি-তে বাংলা বিষয়ের সৃজনশীল রচনামূলক ও বহুনির্বাচনি প্রশ্নপত্রও অপেক্ষাকৃত জটিল হয়ে থাকে। আর তাই, এ বিষয়টিতে সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্তি নিশ্চিত করতে হলে বইয়ের প্রতিটি শব্দ সম্পর্কেই ধারণা লাভের কোনো বিকল্প নেই। তোমাদের সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিশ্চিতের সুবিধার্থে প্রতিটি গদ্য ও কবিতার মধ্যে তিনটি ধাপ রাখা হয়েছে।

প্রথম ধাপে রয়েছে- ‘শব্দ ধরে পড়ি’। এখানে বইয়ের লাইন ও শব্দক্রম অনুসারে সম্ভাব্য সকল প্রশ্ন সাজিয়ে উল্লেখ করা হয়েছে। প্রতিটি প্রশ্নের সঙ্গে উত্তরও যুক্ত করে দেওয়া আছে। অর্থাৎ এ প্রশ্নোত্তরগুলো ভালোভাবে আয়ত্ত করে নিলে সকল প্রকার জ্ঞানমূলক, অনুধাবনমূলক ও অভিন্ন তথ্যভিত্তিক বহুনির্বাচনি প্রশ্নের সঠিক উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে। সেইসঙ্গে সৃজনশীল অংশের জ্ঞানমূলক প্রশ্নোত্তরেরও শতভাগ প্রস্তুতি নিশ্চিত হবে। যেহেতু প্রতিটি বাক্য থেকেই শব্দ ধরে ধরে প্রশ্ন তৈরি করে দেওয়া হয়েছে, তাই সৃজনশীল প্রশ্নের অন্যান্য অংশগুলোর (অনুধাবন, প্রয়োগ, উচ্চতর দক্ষতা) উত্তর করার দক্ষতাও অর্জিত হবে।

দ্বিতীয় ধাপে রয়েছে- ‘বহুনির্বাচনি পরীক্ষা’। প্রথম ধাপে সবগুলো প্রশ্নোত্তর শিখে নেওয়ার পর প্রস্তুতি যাচাই করার জন্য পরীক্ষা দেওয়ার এ ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এখানে সংশ্লিষ্ট
গদ্য/কবিতার ওপর বহুনির্বাচনি প্রশ্ন সন্নিবেশিত থাকছে। প্রথম ধাপের পড়াশোনা কতটা মজবুত হয়েছে, পরীক্ষায় অংশ নিলে সেটা তোমরা বুঝতে পারবে।

তৃতীয় ধাপে রয়েছে- ‘সৃজনশীল প্রশ্নোত্তর-প্রস্তুতি’। ইতোমধ্যেই প্রথম দুটি ধাপে বহুনির্বাচনি অভীক্ষার পুরো প্রস্তুতি ও মূল্যায়ন সম্পন্ন হয়ে গেছে। তৃতীয় ধাপে এসে সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর করার দক্ষতা তৈরির লক্ষ্যে গুরুত্বপূর্ণ কিছু অনুধাবনমূলক প্রশ্ন ও কয়েকটি সৃজনশীল প্রশ্ন তোমাদের সামনে উপস্থাপন করা হয়েছে। সুতরাং নিজে নিজে এ প্রশ্নগুলোর উত্তর খাতায় লিখে নিজের সৃজনশীল প্রশ্নের উত্তর-দক্ষতা যাচাই করে নিতে পারবে।

তাহলে চলো, পড়াশোনায় এ নবযাত্রা শুরু করা যাক।

বাংলা