বিভিন্ন প্রতিযোগিতামূলক পরীক্ষায় সমাসের যে জায়গাগুলো থেকে বেশি প্রশ্ন আসে, তার মধ্যে উপপদ তৎপুরুষ সমাস অন্যতম। এর সংজ্ঞার বিশ্লেষণ আমরা অন্য একটি আলোচনায় পাবো। এখানে কেবল আমরা এক পলকেই উপপদ তৎপুরুষ সমাস চেনার সূত্রটা জেনে নেবো।
মনে রাখতে হবে: বাক্য সংক্ষেপণ (এক কথায় প্রকাশ) ঘটে থাকলে এবং সমস্তপদের শেষে ক্রিয়া (কাজ)-বাচক পদ যুক্ত থাকলেই সেগুলো সাধারণত উপপদ তৎপুরুষ সমাস হয়।
উদাহরণ ও ব্যাখ্যা:
বাক্য সংক্ষেপণ (এক কথায় প্রকাশ):
জলচর (জলে চরে যা), পঙ্কজ (পঙ্কে জন্মে যা), সত্যবাদী (সত্য বলে যে), ইন্দ্রজিৎ (ইন্দ্রকে জয় করেছে যে)।
সমস্তপদের শেষে ক্রিয়াবাচক পদ:
পকেটমার। এখানে ‘মার’ একটি ক্রিয়াবাচক পদ।
ছেলেধরা। এখানে ‘ধরা’ একটি ক্রিয়াবাচক পদ।
পাতাচাটা। এখানে ‘চাটা’ একটি ক্রিয়াবাচক পদ।
মাছিমারা। এখানে ‘মারা’ একটি ক্রিয়াবাচক পদ।
আরও উদাহরণ:
গৃহস্থ, ছারপোকা, জলধি, জলদ, খেচর, প্রিয়ংবদা, মনোহারিণী, ক্ষীণজীবী, একান্নবর্তী, ধামাধরা, হাড়ভাঙা, ঘরপোড়া, বর্ণচোরা, গলাকাটা, পা-চাটা, পাড়াবেড়ানি, ছা-পোষা, বাস্তুহারা, সর্বহারা, মনমরা, প্রভাকর, সর্বনাশা, বুকভাঙা, অর্থকরী, বাজিকর, ভারবাহী, জাদুকর, স্বর্ণকার, টনকনড়া।
এ সমাসের ব্যাসবাক্য করাও খুবই সহজ। অর্থ অনুসারে যে/যা/যাতে বসিয়ে দিলেই ব্যাসবাক্য হয়ে যায়।
যেমন: ছা-পোষা = ছা পোষে যে, হাড়ভাঙা = হাড় ভাঙে যাতে।